প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। সেই সাথে বাড়ছে টিকা গ্রহণের চাহিদা। রংপুর স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে আর মাত্র রয়েছে ৫৫ হাজার করোনার টিকা। চাহিদা অনুয়ায়ী এই টিকা চলবে আর সর্বোচ্চ এক সপ্তাহ। এরপর কি হবে হবে স্বাস্থ্য বিভাগও জানেন না। প্রথম ডোজের টিকা নতুন করে আসার সম্ভাবনাও নেই।
তাই সংক্রণের ঊর্ধ্বমুখীর মুহূর্তে জনগণ চাইলেও টিকা দিতে পারবেন না। তবে স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, আগের চেয়ে টিকা গ্রহিতার সংখ্যা কমেছে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে ৮ এপ্রিল থেকে। তবে বরাদ্দ কবে নাগাদ আসবে তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, রংপুর বিভাগে প্রথম ডোজের বরাদ্দ এসেছে প্রায় ৬ লাখ। বুধবার বিকেল পর্যন্ত টিকা দেওয়া হয়েছে ৫ লাখ ৪৭ হাজার ৮৫৬ জনকে। এর মধ্যে পুরুষ ৩ লাখ ৩০ হাজার ২০৫ জন এবং মহিলা ২ লাখ ১৭ হাজার ৬৫১ জন। স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে রয়েছে ৫৫ লাখের মতো।
স্বাস্থ্য বিভাগের একটি সূত্র জানিয়েছে, সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে টিকা সংকট দেখা দিয়েছে। প্রথম ডোজের টিকার নতুন করে বরাদ্দ না এলে লাখ লাখ মানুষ এই মহামারির সময় টিকা গ্রহণ থেকে বঞ্চিত হবে।
গত ৩১ জানুয়ারি করোনা টিকার প্রথম ডোজ রংপুরে আসে। ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে এর প্রয়োগ শুরু হয়। বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৮ থেকে ১০ হাজার মানুষ টিকা গ্রহণ করছে। বর্তমানে প্রথম ডোজের টিকা শেষ হওয়ার পথে। এর মধ্যে স্বাস্থ্য বিভাগ সিদ্ধান্ত নিয়েছে চলতি মাসের ৮ তারিখ থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হবে। হাতে মাত্র ৬ থেকে ৭ দিন থাকলেও দ্বিতীয় ডোজ কবে নাগাদ আসবে এর কোন নিশ্চয়তা পায়নি স্বাস্থ্য বিভাগ।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৩৭ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন একজন। এ পর্যন্ত ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৩২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৬ হাজার ৩১৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই বিভাগে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৩১৫ জন। সবচেয়ে বেশি মৃত্যুবরণ করেছেন দিনাজপুরে ১১৪ জন। এর পরেই রয়েছে রংপুরে ৭৩ জন। সবচেয়ে কম মারা গেছেন লালমনিরহাট জেলায় ১১ জন।
রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. আহাদ আলী জানান, এখন পর্যন্ত ৫৫ হাজারের মতো টিকা রয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ ৮ এপ্রিল থেকে দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই