১১ মে, ২০২১ ০৯:০৪

ভারতে আবিষ্কৃত করোনার ভ্যারিয়েন্ট গোটা বিশ্বের জন্য চিন্তার: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

অনলাইন ডেস্ক

ভারতে আবিষ্কৃত করোনার ভ্যারিয়েন্ট গোটা বিশ্বের জন্য চিন্তার: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

করোনাভাইরাসের যে ভ্যারিয়েন্ট ভারতে ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ছে তা নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় রয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কারণ করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ছে দ্রুত। আর সেটাই আশঙ্কার কারণ। 

জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ভারতে গত বছর অক্টোবর মাসে করোনার এই ভ্যারিয়েন্ট আবিষ্কৃত হয়। এই ভ্যারিয়েন্টের নাম বি.১.৬১৭। আসল ভাইরাস থেকে এটি অনেক দ্রুত অন্যের শরীরে ছড়িয়ে পড়েছে। তবে টিকাকরণের কারণে সম্ভবত কিছুটা সুরক্ষা এখনও পর্যন্ত পাওয়া যাচ্ছে। কিছুটা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে পারছে ভ্যাকসিন।
 
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিজ্ঞানী মারিয়া ভ্যান কেরকোভ বলেন, বি.১.৬১৭ যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে তার কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। প্রাথমিক অধ্যয়নের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি এও বলেছেন, কিছু ক্ষেত্রে এই সংক্রমণ খানিকটা হলেও হ্রাস পেয়েছে। তবে এই ভ্যারিয়েন্ট গোটা বিশ্বের জন্য চিন্তার। মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে সাপ্তাহিক মহামারী বিষয়ক আপডেটে এই সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে বি.১.৬১৭ ভ্যারিয়েন্ট যেভাবে দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে তা-ই মূলত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিন্তার কারণ। সমগ্র বিশ্বের ক্ষেত্রেও এটি চিন্তার বিষয়।

ভারত বর্তমানে করোনার কারণে বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে। সোমবারের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজার সংক্রমণ ঘটেছে। মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৭০০ জনের। তার মধ্যে দেশে স্বাস্থ্যের পরিকাঠামোও খুব একটা ভালো নয়। প্রথমে মনে করা হয়েছিল ছিল যে বি.১.৬১৭ হয়তো এমন এক ভ্যারিয়েন্ট যার মিউটেশন এবং বৈশিষ্ট্য কিছুটা আলাদা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটিকে “ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট” হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। 

অন্যদিকে করোনার আর যে ভ্যারিয়েন্টগুলো খুঁজে পাওয়া গিয়েছে ব্রিটেন, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকায় সেগুলোকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার “উদ্বেগের বিষয়” হিসেবে বর্ণনা করেছে।


 
বি.১.৬১৭ ভ্যারিয়েন্টের কথা বলতে গিয়ে ভ্যান কেরকোভ বলেন, চিকিৎসা বা ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে কাজ করছে না এমন নয়। বিশ্ব স্বাস্থ সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথনও তাকে সমর্থন করেছেন। তিনি বলেছেন, “আমরা এখন জানি যে ভ্যাকসিনগুলো কাজ করে, চিকিৎসা কাজে দেয়। রেগুলার ভাইরাসের জন্য যে চিকিৎসা সেই চিকিৎসা এক্ষেত্রেও কার্যকরী। তাই এর কোনও পরিবর্তনের দরকার নেই। মানুষের এগিয়ে গিয়ে ভ্যাকসিন নেওয়া উচিত। যে ভ্যাকসিন পাওয়া যায় সেটিই যোগ্য।”

বিডি প্রতিদিন/কালাম

সর্বশেষ খবর