সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০১৩ ০০:০০ টা

অপরাধীদের বিষফোঁড়া নবগঠিত ডাসার থানা

কালকিনির দুর্গম এলাকা ডাসার ও নবগ্রাম ইউনিয়ন। অপরাধ সংঘটিত হওয়া ছিল এখানে নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। বরিশালের গৌরনদী ও আগৈলঝাড়া এবং গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় খুন, ডাকাতি, ধর্ষণসহ সব ধরনের অপরাধের নিরাপদ রুট হয়ে দাঁড়িয়েছিল অঞ্চলটি। এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের দীর্ঘ সাধনার পর এ বছর গঠিত হয় ডাসার থানা। থানার কার্যক্রম শুরুর পরই পাল্টে যায় এলাকার চেহারা। অপরাধীদের জন্য বিষফোঁড়া হয়ে ওঠে নবগঠিত এ থানা।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য হওয়ায় এ অঞ্চলে জোড়া খুনের মতো ঘটনাও ঘটত অহরহ। উপজেলার সর্ববৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনা একাডেমী অ্যান্ড উইমেন্স কলেজ ও ডিকে আইডিয়াল সৈয়দ আতাহার আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীরা ইভ টিজিংয়ের শিকার হতো প্রতিনিয়ত। অনেক ছাত্রী ভয়ে স্কুল-কলেজে আসা বন্ধ করে দিয়েছিল। দুর্গম এলাকা হওয়ায় কালকিনি থানা পুলিশের এসব অপরাধ নির্মূল করতে গিয়ে গলদঘর্ম হতে হতো। এলাকাবাসীর দাবি ও সাধারণ মানুষের জান-মালের নিরাপত্তার কথা ভেবে ২০১২ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ডাসারে স্থাপিত হয় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র। আরও জোরালো দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ডাসার, নবগ্রাম, কাজিবাকাই, বালিগ্রাম ও গোপালপুর ইউনিয়ন নিয়ে গত ২ মার্চ ঘোষণা করা হয় ডাসার থানা। বদলে যেতে শুরু করে অপরাধের চিত্র। চুরি, ডাকাতি ও খুনের ঘটনা কমার পাশাপাশি গ্রামছাড়া হয় মাদক বিক্রেতারাও। শেখ হাসিনা একাডেমী অ্যান্ড উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষ জাকিয়া সুলতানা বলেন, 'থানা প্রতিষ্ঠার আগে মেয়েরা কলেজে আসার সময় রাস্তার মোড়ে, দোকানের সামনে ও ব্রিজের ওপর বসে থাকত বখাটেরা। অনেকে কান্নাকাটি করত, কলেজে আশা বন্ধ করে দিত কেউ কেউ। থানা প্রতিষ্ঠার পর পুলিশি তৎপরতায় বখাটেরা এলাকা ছেড়ে পলিয়েছে।

সর্বশেষ খবর