বুধবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

জলদস্যুদের কাছে জিম্মি উপকূলীয় ১০ লাখ জেলে

নিরাপত্তা চেয়ে জেলে সমিতির আবেদন

সাগরে গিয়ে মৌসুমের বেশির ভাগ সময় নিরাশ হয়ে ফিরে এসেছিলেন জেলেরা। মৌসুমের শেষভাগে সাগরে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পড়তে শুরু করলেও জলদস্যুর কারণে জেলেরা সাগরে যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতি। সাগরে ইলিশ শিকারে গিয়ে বহু জেলে অপহৃত হলেও প্রশাসনের কোনো সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি তাদের। তাই জেলেদের নিরাপত্তা চেয়ে সমিতির পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও র্যাবের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

সমিতির বরিশাল জেলা সভাপতি ইসরাইল পন্ডিল, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সিকদার ও সাংগঠনিক সম্পাদক আনন্দ চন্দ্র বর্মণ ইলিশ, জেলে ও ট্রলারের নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য এই আবেদন করেন। মঙ্গলবার দেওয়া এ আবেদনে তারা উল্লেখ করেন, দীর্ঘদিন ধরে নদী ও সাগরে ইলিশ মাছ পাওয়া যায়নি। এর সঙ্গে বন্যা ও জলোচ্ছ্বাসে নদী ও সাগরে গিয়ে জেলেরা মাছ শিকার করতে পারেননি। বর্তমানে কিছু মাছের দেখা মিললেও জলদস্যুদের উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় জেলেরা মাছ শিকার করতে পারছেন না। বরগুনার তালতলী, পাথরঘাটা, পটুয়াখালী, কলাপাড়া, রাঙ্গাবালি, গলাচিপা, ভোলা জেলার দৌলতখান, মনপুরা, চরফ্যাশন, নোয়াখালী জেলার দক্ষিণ হাতিয়া, সুবর্ণচর, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি, কমলনগর, বরিশাল জেলার মেহেন্দীগঞ্জ, হিজলা উপজেলার অনেক মাঝিকে জলদুস্যরা অপহরণ করে মুক্তিপণ হিসেবে ২-৩ লাখ টাকা করে নিয়ে মুক্তি দিয়েছে। মুক্তিপণের টাকা দিতে মাঝিরা ভিটাবাড়ি বিক্রি করেছেন। এখনো অনেক মাঝি দস্যুদের হাতে জিম্মি রয়েছেন। সম্প্রতি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালি, কলাপাড়া, বরগুনা, তালতলী, বরগুনা সদরের শতাধিক মাঝি অপহৃত হয়েছেন। থানা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো কিনারা করা যায়নি। উপকূলীয় এলাকার ১০ লাখ মৎস্যজীবী দস্যুদের হাতে জিম্মি রয়েছেন। জলদস্যুদের কারণে জেলেরা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। আর কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগ করে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন ইলিশ ব্যবসায়ীরা।

সর্বশেষ খবর