কৃষক যাতে ন্যায্য মূল্যে ধান পান, সে লক্ষ্যে শেরপুরে সরাসরি তাদের কাছ থেকে প্রতিকেজি ২৩ টাকা দরে ১৩ হাজার ৩৪ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এ সিদ্ধান্তে বাজারে ধানের দাম বাড়তে শুরু করলেও সরকারি সব শর্ত মেনে ধান দিতে পারছেন না কৃষক। শর্তের মধ্যে রয়েছে— ধানের আর্দ্রতা থাকতে হবে সর্বোচ্চ ১৪%, চিটা থাকবে সর্বোচ্চ দশমিক ৫%, বিজাতীয় পদার্থ থাকবে শূন্য দশমিক ৫%, মিশ্রণ থাকবে ৮%। এ কারণে গত এক মাসে ধান সংগ্রহ হয়েছে মাত্র এক হাজার ১৫২ টন ৪৬০ কেজি। যা লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ৮.৬৩%। প্রতিদিন গুদামগুলোতে ধানের নমুনা নিয়ে সরকারি শর্ত পূরণ না হওয়ার কারণে শত শত কৃষক ফিরে যাচ্ছেন। শর্ত শিথিল না করলে সরকারের ধান সংগ্রহের লক্ষমাত্রা অর্জিত হবে না বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। সরকারি নির্দেশমতে কৃষকের ধান বিক্রির ব্যাপারে প্রতিটি এলাকায় সিন্ডিকেট তত্পর বলে অভিযোগ উঠেছে। কৃষকের কার্ড হাতিয়ে প্রভাব খাটিয়ে গুদামে ধান সরবরাহের চেষ্টা করছেন তারা। একদিকে সরকারের ‘কঠিন’ শর্ত অন্যদিকে সিন্ডিকেট— এ পরিস্থিতিতে সরকারের আসল উদ্দেশ্য ভেস্তে যাচ্ছে। মুনাফা যাচ্ছে না কৃষকের পকেটে। সদর উপজেলার এসএমও আসাদুজ্জামান খান জানান, শর্তের ব্যাপারে কৃষকরা আপত্তি তুললেও একটু লাভের আশায় ধান গুদামে আনছেন। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন জানান, শর্ত মেনেই কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা হচ্ছে। সরবরাহকৃত ধানের মূল্য ক্রস চেকে সরাসরি কৃষকের হিসাব নম্বরে দেওয়া হয়; সুতরাং সিন্ডিকেটের সুযোগ নেই। জেলা প্রশাসক ও জেলা ধান সংগ্রহ কমিটির আহবায়ক ডা. এএম পারভেজ রহিম ধানের চিটার শর্তটি কঠিন স্বীকার করে বলেন— বিষয়টি মন্ত্রী মহোদয়কে জানানো হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক জানান, যারা ধান দেওয়ার ক্ষেত্রে এই শর্ত দিয়েছেন তারাও শর্তানুযায়ী ধান প্রস্তুত করতে পারবেন না। নীতিমালা করার সময় কৃষকদের সঙ্গে কথা বলা উচিত ছিল। মোস্তাক নামে আরেক কৃষক বলেন, ধানের বরাদ্দ পেয়েছি আধা টন। সাত বার ধান ঝেড়ে গুদামে নিয়ে গেলে পরীক্ষায় দেখা যায় চিটার পরিমাণ শর্তের চেয়ে বেশি। আর ধান নিয়ে গুদামে আসবো কিনা ভাবছি। জানা যায়, গত ২৫ মার্চ নালিতাবাড়ী উপজেলায় ধান সংগ্রহ উদ্বোধনকালে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ভিডিওকনফারেন্সে কৃষকের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় কৃষকরা মন্ত্রীকে ধান নেওয়ার ক্ষেত্রে দেওয়া শর্ত কিছুটা শিথিল করার অনুরোধ জানালে তিনি বিবেচনা করার আশ্বাস দেন। মোরেলগঞ্জে আর্দ্রতা পরীক্ষা করে ধান সংগ্রহ : মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে গতকাল শুরু হয়েছে সরকারিভাবে ধান ক্রয়। কর্মসূচি উদ্বোধনকালে ইউএনও ওবায়দুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আজমীন নাহার, অধ্যক্ষ মো. সাহাবুদ্দিন তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা একেএম শহিদুল হক জানান, ২৩ টাকা প্রতি কেজি দরে ধান ক্রয় করা হবে। ধান কেনার আগে কৃষকদের কাছ থেকে নমুনা নিয়ে ডিজিটাল মেশিনে আর্দ্রতা পরীক্ষা করা হয়। ভেজা, কাঁচা ও তামাটে রঙের ধান ক্রয় বিক্রয় চলবে না। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এই ধান ক্রয় অভিযান অব্যাহত থাকবে।
শিরোনাম
- শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনকে সময় বেঁধে দিলেন ট্রাম্প
- মামদানিকে ট্রাম্পের অভিনন্দন, বৈঠককে বললেন ‘দারুণ ও ফলপ্রসূ’
- ফাইনালে পাকিস্তানকে পেল বাংলাদেশ
- ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩০
- বিএনপির রাজনীতিতে সব ধর্মের প্রতি সম্মান আছে : এ্যানী
- আমরা কোন রাজনীতির কথা ভাবছি
- রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে আগুন, পুড়ল দোকান
- ঢাকায় ভূমিকম্পে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রের সমবেদনা
- ভূমিকম্পে ঢাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের তালিকা প্রকাশ
- নারায়ণগঞ্জ জেলায় ভূমিকম্পে শিশুর মৃত্যু, আহত ২৪
- যাত্রাবাড়ীতে নবীউল্লাহ নবীর গণসংযোগ
- রাজধানীতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীদের অবস্থান কর্মসূচি
- ‘তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হাসিনার বিচার হয়েছে, তবে আপিলের সুযোগ আছে’
- পোস্টাল ভোটিং: দুই দিনে সাড়ে ৬ হাজার নিবন্ধন
- একসঙ্গে সহকারী অধ্যাপক হলেন ১৮৭০ শিক্ষক
- হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সতর্কবার্তা
- ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল নরসিংদী জেলায় যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে
- রাজশাহীতে বদ্ধ ঘর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- ‘ঢাকার পুরনো ভবনগুলোর ৯০ শতাংশ বিল্ডিং কোড না মেনে নির্মিত’
- ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০
শর্তের বেড়াজালে কৃষক
সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ
শেরপুর প্রতিনিধি
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর