সোমবার, ৪ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা

১৯ বছরেও গড়ে ওঠেনি পর্যাপ্ত কারখানা

লক্ষ্মীপুর বিসিক

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরে বিসিক শিল্পনগরী স্থাপনের ১৯ বছর পরও গড়ে ওঠেনি পর্যাপ্ত পরিমাণ কল-কারখানা। যে কয়েকটি শিল্প-কারখানা গড়ে ওঠেছে সেগুলোও এখন বন্ধ হওয়ার পথে রয়েছে বলে জানান কারখানা মালিকরা। বর্তমানে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট, যোগাযোগ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থাসহ চরম অব্যবস্থাপনায় বেহাল দশা বিরাজ করছে সম্ভাবনাময় লক্ষ্মীপুর বিসিক শিল্পনগরীতে। লক্ষ্মীপুর বিসিক শিল্পনগরী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুরে বেকার সমস্যার সমাধান ও শিল্পায়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে শহরের অদূরে বাঞ্চানগর এলাকায় ১৬ একর ভূমির ওপর ১৯৯৭ সালে বিসিক শিল্পনগরী প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়। প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০৪ সালে শিল্পনগরীর কাজ সম্পন্ন করা হয়। তৈরি করা হয় তিন ক্যাটাগরির ১০০টি প্লট। বর্তমান ২০১৬ সাল পর্যন্ত এসে এসব প্লটের ৫৮টি শিল্প প্রকল্পের অনুকূলে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৭টি প্রকল্প চালু রয়েছে, আর ২৭টিতে নির্মাণকাজ চলছে, বাকি ৪টি প্রকল্প উৎপাদনজনিত সমস্যার কারণে বন্ধ রয়েছে। বেকারি, ওয়েল মিল, সয়াবিন প্রক্রিয়াজাতকরণ, অটো রাইসমিল ও মবিল রি-প্যাকিং ফ্যাক্টরিসহ বর্তমান সময়ে বিসিক শিল্পনগরীতে হাতেগোনা কয়েকটি শিল্প-প্রতিষ্ঠান থাকলেও গ্যাস, বিদ্যুৎ সংকট ও পানির সমস্যার কারণে সেগুলোও এখন বন্ধের উপক্রম হয়েছে বলে জানান স্থাপিত কারখানা মালিকরা। এ ছাড়া মূল ফটক থেকে শুরু করে বিসিক এলাকার সব রাস্তায় বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়ে খানাখন্দে ভরে গেছে এখন, এতে করে পণ্য আনা-নেওয়াসহ  যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিঘ্নতা ঘটছে বলে জানান বিভিন্ন গাড়ির চালকরা। বিসিক এলাকার সব ড্রেন সরু হওয়ায় ময়লা নিষ্কাশন না হয়ে জমাট বেঁধে আছে। এতে করে দুর্গন্ধসহ নানা রোগের সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান কারখানা শ্রমিকরা। বিসিক কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর সাড়ে চার হাজার টাকা সার্ভিস চার্জ নিলেও কোনো সুযোগ-সুবিধা ও যথাযথ তদারকি না করাসহ প্রকৃত শিল্প উদ্যোক্তাদের প্লট বরাদ্দ না দিয়ে অর্থের বিনিময়ে অসাধু বিসিক কর্মর্তারা ব্যক্তি বিশেষের নামে-বেনামে ৫/৭টি প্লট বরাদ্দ দেওয়ার অভিযোগ করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি রিয়াজুল হাসান টিপু ও একাধিক ব্যবসায়ী। এতে করে বিসিক শিল্পনগরীতে কারখানা স্থাপন থেকে শিল্প উদ্যোক্তারা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন জানিয়ে সব সমস্যা সমাধান করতে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন তারা। এদিকে বিসিক শিল্প নগরীর উপ-ব্যবস্থাপক মো. তাজুল ইসলাম এসব সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, প্লট বরাদ্দ প্রাপ্তদের উৎপাদনের বিষয়ে তাগিদ দেওয়া হচ্ছে, কিন্তু তারা গ্যাস সংকটের কারণে বিলম্ব করছেন। প্রথম পর্যায়ে যারা বরাদ্দের জন্য এসেছে তাদের বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তারা সঠিক শিল্প উদ্যোক্তা নয় বলে জানান এই কর্মকর্তা।

সর্বশেষ খবর