দেশের সর্ব উত্তরের সীমান্ত ঘেঁষা পঞ্চগড় জেলার শ্রমিকদের একটি বড় অংশ পাথর ভাঙার কাজের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু স্বাস্থ্য সম্পর্কে মালিক শ্রমিক কেউই সচেতন না থাকায় ধুলোবালি বাহিত সিলিকোসিসসহ ভয়াবহ রোগ ও স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে হাজার হাজার শ্রমিক। নাক এবং শ্বাস প্রশ্বাসের মাধ্যমে শরীরের ভিতরে ধুলোবালি ঢুকে পড়ায় নানা রোগ বালাই নিয়ে প্রতিনিয়ত ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হচ্ছে তাদের। এ ক্ষেত্রে পাথর ভাঙা মেশিনে কাজ করার সময় মুখে মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। জেলার প্রধান খনিজসম্পদ পাথর শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছে পঞ্চগড় জেলার প্রায় কয়েক লাখ মানুষ। এমন অনেকেই আছেন যাদের জীবিকার পুরোটাই পাথরের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু পাথর উত্তোলন ও পাথর ভাঙার জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ ও পরিকল্পনা না থাকায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে পাথর শ্রমিকদের বিরাট অংশ। যাদের অধিকাংশই নারী শ্রমিক। জেলার সমতল ভূমি খনন করে ভূগর্ভ ও নদী থেকে পাথর উত্তোলন করা হয়। আবার ভারত থেকেও আমদানি করা হয় পাথর। এসব পাথর ভাঙার কাজে যুক্ত রয়েছেন প্রায় লক্ষাধিক দরিদ্র শ্রমিক। মেশিনের মাধ্যমে পাথর ভাঙার সময় ভাঙা পাথরের গুঁড়ো ও ধুলোবালি নির্গত হয়ে চারপাশে ছেয়ে যায়। আর এসব ধুলোবালির মধ্যেই কাজ করতে হয় শ্রমিকদের। সারাদিন কাজ করার পর রাতে মাথা ব্যথা, সর্দি, কাঁশি, শ্বাসকষ্ট, ক্ষুধাহীনতা, ও নিদ্রাহীনতায় ভোগেন অধিকাংশ শ্রমিক। ভিতরগড় মডেল হাট এলাকার নারী শ্রমিক বেগম আক্তার (৪৫) জানান, ভাঙা মেশিনে কাজ করে বাড়ি ফিরে রাতে ঘুম হয় না। কাঁশি হয়। শ্বাসকষ্ট হয়। ডাক্তার দেখাই, ওষুধ খাই কিন্তু রোগ ভালো হয় না। ভজনপুর এলাকার শ্রমিক সমিজুল ইসলাম জানান, ক্ষুধা লাগে না। বুক ঘর ঘর করে। সর্দি লাগে, কাশি হয়। গরিব মানুষ এই কাজে ভালো টাকা পাওয়া যায়। তাই কষ্ট হলেও কিছু করার নেই। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সিরাজ-উ-দৌলা পলিন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ইদানীং প্রচুর শ্রমিক ধুলোবালি বাহিত রোগ বালাই নিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হচ্ছেন। পাথর ভাঙা মেশিন থেকে উত্পন্ন পাথরের গুঁড়ো ও ধুলোবালি সরাসরি নিঃশ্বাস এবং নাক ও মুখের মাধ্যমে শ্রমিকদের শরীরে প্রবেশ করছে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর। এ কারণে শ্রমিকরা শ্বাসকষ্ট, কাশি, সর্দি এমনকি ভয়াবহ সিলিকোসিস রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তিনি পাথর ভাঙা মেশিনে কাজ করার সময় মুখে মাস্ক ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। শ্রমিকদের অনেকেই দীর্ঘদিন কাজ করার পর শ্বাসকষ্ট,সর্দি জ্বরসহ জটিল রোগে আক্রান্ত হলেও মালিকদের পক্ষ থেকে কোনো সচেতনামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বলে জানান শ্রমিকরা।
শিরোনাম
- সব ধরনের কাউন্টার সেবা বন্ধ করলো বাংলাদেশ ব্যাংক
- শীতের দিনেও ব্যায়াম, যা খেয়াল রাখা জরুরি
- প্রশাসন আমাদের কথায় উঠবে, আমাদের কথায় বসবে: জামায়াত নেতা শাহাজাহান
- মুখে বলিরেখা সমস্যার প্রাকৃতিক সমাধান
- বিশ্বকাপ : বাংলাদেশের সামনে পড়তে পারে ইতালি
- শুল্কের হুমকি দিয়ে আট যুদ্ধের পাঁচটিই থামিয়েছি: ট্রাম্প
- নির্বাচনী হলফনামায় বিদেশি সম্পদের বিবরণীও বাধ্যতামূলক: দুদক চেয়ারম্যান
- হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
- ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে প্রাণ গেল সিলেটের যুবকের
- বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার
- টেস্টে নতুন উচ্চতায় তাইজুল
- ঢাকা উত্তরে প্রথম কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের যাত্রা শুরু
- সার উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের নতুন দাম ঘোষণা আজ
- শিক্ষার্থীদের বাড়ি ফিরতে বিভাগীয় শহরে বাস সার্ভিস দেবে ডাকসু
- হল ছেড়ে মধ্যরাতে খোলা আকাশের নিচে ইডেন ছাত্রীরা, বিক্ষোভ
- ভিকারুননিসায় রবিবারের সব পরীক্ষা স্থগিত
- ভেনেজুয়েলাকে ঘিরে নতুন অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
- টিভিতে আজকের কোন খেলা কোথায় দেখবেন
- ছাত্রাবাসে ফাটল : চাদর-বালিশ নিয়ে সড়কে শিক্ষার্থীরা
- আজ ঢাকার বাতাসের মান কেমন?
পাথর ভাঙা মেশিনের ধুলায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শ্রমিক
সরকার হায়দার, পঞ্চগড়
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর