রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ ০০:০০ টা

দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ তবুও সচল হয়নি গড়াই

হুমকিতে জীববৈচিত্র্য

জহুরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া

দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ তবুও সচল হয়নি গড়াই

পানিশূন্য গড়াই নদী —বাংলাদেশ প্রতিদিন

দুই দফায় প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা খরচ করে খনন করেও সচল হয়নি দেশের উপকূলভাগে মিঠা পানির অন্যতম আধার গড়াই নদী। বরং আগের থেকে আরও করুণ অবস্থা কুষ্টিয়া থেকে উৎপত্তি হওয়া পদ্মার প্রধান এ শাখা নদীর। দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও সঠিক গবেষণার অভাব, অপরিকল্পতি ড্রেজিং, কাজ বাস্তবায়নে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে গড়াই খননে সুফল আসছে না বলে মনে করছেন অনেকে। এই অবস্থায় তৃতীয়বার গড়াই নদী খননের জন্য ৯০০ কোটি টাকার নয়া প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। পরিবেশবিদদের মতে, পৃথিবীর বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনকে রক্ষা ও ও উপকূলভাগে নোনা পানির আগ্রাসন রুখতে সারা বছর মিঠা পানির অন্যতম আধার এই গড়াই নদী।  কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া এলাকার পদ্মা নদী থেকে গড়াই-এর উৎপত্তি। নদীটি কুষ্টিয়া ছাড়াও মাগুরা, রাজবাড়ি, ঝিনাইদহ, ফরিদপুর হয়ে যশোর ও খুলনা হয়ে বলেশ্বর নাম নিয়ে বঙ্গোপসাগরে পড়েছে। সুন্দরবন ছাড়াও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে নোনা পানির আগ্রাসন রুখতে বড় ভূমিকা রাখে গড়াইয়ের মিঠা পানি। প্রায় দেড় যুগ আগে পলি ও বিপুল বালু জমে গড়াই নদীতে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। নদীকে আগের রূপে ফিরিয়ে আনতে ১৯৯৮ সালে এ নদী পুনরম্নদ্ধারে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বেশ কয়েক বছর ধরে এ নদী খনন করা হয়। তবে কাজ শেষ হওয়ার কয়েক বছর না যেতেই ফের আগের অবস্থায় ফিরে যায় নদী। ২০১০-১১ অর্থবছর থেকে ৪ বছর মেয়াদী বৃহত্তর আকারের ড্রেজিং করতে ‘গড়াই নদী পুনরুদ্ধার প্রকল্প-২ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯৪২ কোটি টাকা। ২য় পর্যায়ের মেয়াদে তালবাড়িয়া থেকে খোকসা উপজেলা শহর পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার নদী খননে বরাদ্দের বেশিরভাগ টাকা ব্যয় হয়ে গেলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তবে এ বছর পানি উন্নয়ন বোর্ড আরও ১৭ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে আপাদকালীন খনন কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য। এদিকে, এ বছর শীতকাল শেষ হওয়ার আগেই গড়াই শুকিয়ে গেছে। এর বুকজুড়ে এখন ধু ধু বালু চর।  কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান বলেন, ‘দুই দফা খননের পরও নদীতে পানি প্রবাহ অনেক কম। তাই নতুন করে একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। তাতে খনন, গাইড বাঁধ নির্মাণসহ সব মিলিয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা।

সর্বশেষ খবর