মঙ্গলবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা

সেদিন কী ঘটেছিল ইজতেমা মাঠে

আফজাল, টঙ্গী

সেদিন কী ঘটেছিল ইজতেমা মাঠে

সংঘর্ষ থামাতে চেষ্টা করছে পুলিশ -ফাইল ফটো

টঙ্গী তুরাগ নদের তীরে প্রতি বছর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর জমায়েত ‘বিশ্ব ইজতেমা’ অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। দেশ-বিদেশি লাখ লাখ মুসল্লি সমবেত হন এই ময়দানে। চলে নামাজ, জিকির ও হেদায়তি বয়ান। গত ১ ডিসেম্বর এক পক্ষের ওপর অপর পক্ষের হামলার ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে শুধু তাবলীগ অনুসারীদের মধ্যে নয় ইজতেমা মাঠ এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ইজতেমা ময়দান পবিত্র স্থান। আল্লাহর সন্তুষ্টিলাভে ইবাদত করতে এসে হানাহানি দুঃখজনক। তাবলিগের সাথীরা ইজতেমা মাঠে সংঘর্ষে জড়াবে- এটা লজ্জার। সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে এলকাবাসী ও হতাহতরা জানান, ঘটনার আগের দিন শুক্রবার রাত থেকে এক পক্ষ ইজতেমা মাঠে অবস্থান নিয়ে প্রতিটি মূল ফটক বন্ধ করে দেয়। পরদিন সকালে আরেক পক্ষ জোড় ইজতেমা পালনের উদ্দেশে ময়দানে এলে গেট বন্ধ দেখেন। তারা প্রতিটি ফটকে অবস্থান নিয়ে বয়ান ও ইবাদতে সময় পার করেন। এ সময় ভেতরে থাকা পক্ষটি লাঠিসোঁটা, ইট-পাথর সংগ্রহ করে পাকা টয়লেটের ছাদে মজুদ করেন। সকাল ১০টার দিকে তারা টয়লেটের ছাদে রাখা ইটপাটকেল ইজতেমা মাঠের বাইরে থাকা মুসল্লিদের ওপর নিক্ষেপ শুরু করলে অনেকে আহত হন। বেলা ১১টার দিকে ময়দানের বাইরের মুসল্লিরা গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে হামলা চালান। প্রসঙ্গত, ইজতেমা মাঠে অবস্থান করা মুসল্লিরা যুবায়েরপন্থী আর বাইরের মুসল্লিদের বলা হচ্ছে সা’দ অনুসারী।

সা’দ অনুসারী ঢাকার শান্তিনগরের মাওলানা রুহুল আমীন বলেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৩০ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জোড় ইজতেমা হওয়ার কথা। ৩০ নভেম্বর জোড় ইজতেমায় আসা কয়েক হাজার মুসল্লি ময়দানে ঢুকতে গেলে বাধা দেওয়া হয়। কয়েকদিন আগে থেকেই লাঠি-সোটা নিয়ে তারা মাঠে অবস্থান নিয়েছিল। ১ ডিসেম্বর সকালে আবারও ময়দানে ঢুকতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপে কয়েকশ মুসল্লি আহত হন। যুবায়েরপন্থী মাওলানা শরীফুল ইসলাম জানান, তারা ৭-১১ ডিসেম্বর তাদের জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষণা দেন। এ ঘোষণা শুনে সা’দপন্থীরা ৩০ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পাল্টা জোড় ইজতেমা ঘোষণা করে। এ নিয়ে দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্বাচনের আগে জোড় ইজতেমা স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায়। উভয় পক্ষ ওই সিদ্ধান্ত মেনে নেয়। তারপরও সা’দ অনুসারী কয়েক হাজার মুসল্লি ঘটনার দিন জোড় ইজতেমা করতে ময়দানে ঢোকার চেষ্টা করে। যুবায়েরপন্থী ডা. সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘সা’দ অনুসারীরা ময়দানে ঢুকে হামলা চালিয়ে হাজার হাজার মুসল্লিকে আহত করেছে।

 

সর্বশেষ খবর