ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় সিএনজি ও ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, তরকারি, ফলমূলসহ বিভিন্ন ভাসমান দোকানের দখলে থাকে। এতে ব্যস্ততম মহাসড়কে যানজট লেগেই থাকে। প্রতিদিন ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সৃষ্টি হয় যানজটের। ফলে ভোগান্তি বাড়ছে এ মহাসড়কে। ফলে অবৈধ দখলে থাকায় সম্প্রসারিত ফোরলেন সড়কের সুফল পাচ্ছেন না মানুষ। সরেজমিনে দেখা গেছে, চৌদ্দগ্রাম বাজার এলাকায় পশ্চিম সড়কের দুই পাশে সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার অঘোষিত স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। ফেনী-কুমিল্লা রুটে চলাচলরত মদিনা, যমুনা পরিবহনের বাসসহ অন্য বাসগুলো এলোপাতাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। মহাসড়কের উপর অসংখ্য ভাসমান দোকান দেখা গেছে। অপরদিকে মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার পদুয়া, চিওড়া, আটগ্রাম, মিয়াবাজার সড়কের উপরে দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠা-নামা করে সিএনজি চালিত অটোরিকশা। মহাসড়কের দত্তসার, পদুয়া, জগন্নাথ দিঘি, বাবুর্চি, সৈয়দপুর এলাকায় প্রায় অর্ধশত রেস্তোরাঁ রয়েছে। এসব রেস্তোরাঁর সামনে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান ও লরি এলোপাতাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। এতে করে এখানে অনেক সময় দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এছাড়া সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজী, পদুয়ারবাজার, বুড়িচংয়ের নিমসার, চান্দিনা বাসস্ট্যান্ড, দাউদকান্দির গৌরিপুরে এভাবে মহাসড়ক দখল থাকে। হাইওয়ে পুলিশের মিয়াবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ শরফুদ্দিন বলেন, চৌদ্দগ্রাম বাজারটি উপজেলা সদর হওয়ায় যাত্রী উঠানামা করতে পরিবহন মহাসড়কের উপর দাঁড়ায়।
আমরা প্রতিদিন অভিযান চালিয়ে এগুলো সরিয়ে দিই। তবে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করে স্ট্যান্ড বাজার থেকে দূরে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। ট্রাক ও যানবাহনগুলোর নিজস্ব পার্কিং রয়েছে। খাবার হোটেলের সামনে হয়তো দ্রুতগতির যানবাহনগুলোর গতি কমাতে হয়, তবে কোনো যানজটের সৃষ্টি হয় না বলে তিনি দাবি করেন।