মঙ্গলবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০০ টা

বাঙালি নদীর চরে ফসলের হাতছানি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বাঙালি নদীর চরে ফসলের হাতছানি

দফায় দফায় বন্যার পর বগুড়ার সোনাতলা, সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার বাঙালি নদীতে জেগে ওঠা চরের কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে ফসল চাষের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। স্থানীয় চাষিরা নদী তীরে বোরোর বীজতলা তৈরি শুরু করছেন। বোরো চাষের প্রস্তুতির পাশাপাশি আলু, মরিচ, গম, ভুট্টা, সরিষা, পিঁয়াজ, বাদাম, মাসকালাই বপন করে সংসারে স্বাচ্ছন্দ্য ফেরনোর স্বপ্ন দেখছেন তারা।

জানা যায়, সারিয়াকান্দি ও ধুনট উপজেলার ৮৫ ভাগ মানুষ সরাসরি কৃষির সঙ্গে জড়িত। নদীর বিভিন্ন স্থানে জেগে উঠা হাজার হাজার হেক্টর জমিতে তারা চাষবাস শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে কিছু এলাকায় আগাম জাতের বোরো ধান লাগানো হয়েছে। আবার কিছু এলাকায় রবি ফসলের বীজ বপনে ব্যস্ত কৃষক। কৃষি বিভাগ বলছে আগাম বৃষ্টি না হলে আগামী ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত চাষিরা নদীর বুকে ফসল ফলাতে পারবেন। পতিত জমি হিসেবে প্রতি বছর নভেম্বর মাস থেকে স্থানীয় চাষিরা নদীর বুকে জেগে ওঠা চরে বিভিন্ন ফসল ফলিয়ে লাভ হন। সোনাতলার আড়িয়ারঘাট এলাকার সিরাজুল, নামাজখালী এলাকার তুহিন জানান, বাঙালি নদীর ভাঙনে ৩-৪ বার ভিটেমাটিসহ জমি বিলীন হয়ে গেছে। এখন আর ফসলি কোনো জমি নেই। নদীর বুকে ফসলের চাষ করেন। পতিত জমিতে অল্প পরিশ্রমেই ভালো ফলন পাওয়া যায় বলেও জানান তিনি। সোনাতলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ আহমেদ জানান, বন্যার পর নদীর চরে পলি জমে ফসল চাষের উপযোগী হয়। বৃদ্ধি পায় জমির  উর্বরা শক্তি। সার ও পানি সেচ দিতে হয় না। নভেম্বর মাসের শেষ দিকে রোপণ করে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি কৃষক ধান কাটতে সক্ষম হন। এছাড়া শীতকালীন বিভিন্ন সবজিও তারা চাষ করে থাকেন।

সর্বশেষ খবর