মঙ্গলবার, ৯ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

নড়াইলের ফুসফুস ডিসি-ইকো পার্ক

সাজ্জাদ হোসেন, নড়াইল

নড়াইলের ফুসফুস ডিসি-ইকো পার্ক

নড়াইল জেলাবাসীর ফুসফুস ডিসি-ইকো পার্ক। প্রতিদিন জেলা সদরসহ উপজেলা থেকে অনেকে ছুটে আসছেন একটুখানি স্বস্তির নিঃশ্বাস নিতে। ২০১৯ সালে শুরু হওয়া নড়াইল পৌরসভাধীন হাটবাড়িয়া এলাকার ডিসি-ইকো পার্কটি বর্তমানে নারী-পুরুষ ও শিশুদের বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এ পার্কটি সরকারি অর্থায়নে পৌর শহরের ২৬ একর জমির উপর নির্মিত হয়েছে। এ জেলা সদরে কোনো পার্ক বা বিনোদনের জায়গা না থাকায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে চিত্রা নদীর তীরে তৎকালীন জমিদারদের রেখে যাওয়া জমিতে সাধারণ মানুষকে নির্মল আনন্দদানের জন্য ডিসি-ইকো পার্ক তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। পার্কটিতে শিশুসহ দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য রয়েছে নাগরদোলা, চলন্ত ট্রেনে চড়ার সুযোগ, পানির ফোয়ারা, কৃত্রিম উপায়ে তৈরি বিভিন্ন প্রজাতির পশুপাখি, মন মাতানো ফুলের বাগানসহ খেলাধুলার সামগ্রী। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ডিসি-ইকো পার্কে বেড়াতে আসা নড়াইল সদর উপজেলার বড়গাতি গ্রামের বাসিন্দা জাবের মোল্যা জানান, পার্কটি দেখে খুব মুগ্ধ হলাম। এখানে ঘুরে বাচ্চারা আনন্দ পেয়েছে। ঢাকা থেকে নড়াইল শহরের মহিষখোলার মামাবাড়িতে বেড়াতে আসা কানিজ ফাতেমা ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ডিসি-ইকো পার্কে ঘুরতে আসেন। তিনি বলেন, আগে নড়াইলে বিনোদনের কোনো জায়গা ছিল না। বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরে মজা করেছি। শিশুসহ আগত দর্শনার্থীরা যাতে আরও আনন্দ উপভোগ করতে পারে সে রকম কিছু করা দরকার। পাশাপাশি পার্কটিকে আরও পরিচ্ছন্ন রাখার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। এসএম সুলতান ফাউন্ডেশনের আজীবন সদস্য সুলতান মাহমুদ জানান, বরেণ্য চিত্রশিল্পী এসএম সুলতানের বাড়ির অদূরেই নির্মিত ডিসি-ইকো পার্কটি দর্শনার্থীদের বাড়তি আনন্দ জোগাচ্ছে। চিত্রশিল্পী সুলতানের বাড়ি ঘুরতে আসা লোকজন অল্পসময়ের মধ্যে পার্কটিতে বেড়াতে যেতে পারছেন এবং পৃথক দুটি স্থানের আনন্দ তাদেরকে মুগ্ধ করছে। নড়াইল গণপূর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ পারভেজ বলেন, প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ডিসি-ইকো পার্কটিকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলা হবে। এখনো কাজ চলমান রয়েছে। এ পার্কটি এলাকার মানুষের বিনোদনের শ্রেষ্ঠ কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে। নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, এ পার্কটি দর্শনার্থীদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করা হয়নি। তারপরও প্রতিনিয়ত লোক ভিড় করছে। এটির কাজ পুরোপুরি শেষ হলে দর্শনার্থীদের জন্য আকর্ষণীয় বিনোদনের কেন্দ্র হবে।

সর্বশেষ খবর