মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ, ২০২১ ০০:০০ টা

আশুগঞ্জে মেঘনা নদী অবৈধ দখলে

মোশাররফ হোসেন বেলাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

আশুগঞ্জে মেঘনা নদী অবৈধ দখলে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে একদিকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে মেঘনা নদীর পাড়ের অবৈধ স্থাপনা। অপর দিকে নতুন করে নদী দখল করছেন প্রভাবশালীরা। এ অবস্থায় মেঘনা পাড়ের উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নদী রক্ষার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িতরা। এলাকাবাসী জানান, আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর ঘোষণার দীর্ঘ ১০ বছর পর গত ২৪ ও ২৫ জানুয়ারি মেঘনা নদীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। উচ্ছেদ অভিযানের এক মাস না যেতেই আশুগঞ্জ লঞ্চঘাট এলাকায় নতুন করে ইট আর বালি দিয়ে মেঘনা বক্ষে প্রায় ৭ শতাংশ নদীর জায়গা দখল করছে এক প্রভাবশালী পরিবারের সদস্যরা। নদী ভরাটকারীদের দাবি, এটি তাদের পৈতৃক সম্পত্তি। সিএস খতিয়ানের মালিকানা মূলে তারা ভরাট করছেন। অপরদিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) বলছেন এটা নদীর তীর এবং নদীর জায়গা। তারা অবৈধভাবে ভরাট করছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিন গিয়ে অবৈধ ভরাট কাজ বন্ধ করে দেন বিআইডব্লিউওটিএ  কর্তৃপক্ষ।  নদী ভরাটকারী একজন বলেন, আমরা যে জায়গা ভরাট করছি তার সব কাগজপত্র আমাদের কাছে আছে। জায়গার দলিলপত্রের উপর ভিত্তি করে আমরা জায়গা ভরাট করছি। যেহেতু আমাদের জায়গার পাশে বিআইডব্লিউটিএর জায়গা আছে। তাদের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন ছিল। ওই ব্যক্তি আরও বলেন, আমরা আমাদের কাগজপত্র নিয়ে বিআইডব্লিউটিএর কাছে যাব। তিনি দাবি করেন, যে জায়গাটি ভরাট করা হচ্ছে সেটি আমাদের  পৈতৃক সম্পত্তি। এদিকে আশুগঞ্জ-ভৈরব নৌবন্দর পরিদর্শক জসিম উদ্দিন বলেন, নদী আইন অনুযায়ী আমরা আমাদের অভিযান পরিচালনা করি। নৌবন্দর পরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা নদীর জায়গা মেপে অভিযান পরিচালনা করছি। তারপরেও কিছু লোক আমাদের অনুমতি ছাড়া, কোনো নিয়ম কানুন না মেনে অবৈধভাবে মেঘনা নদীর জায়গা ভরাট করছে। লঞ্চঘাট এলাকায় (নতুন করে ভরাটকৃত জায়গা) পরির্দশনে এসে দেখি অবৈধভাবে প্রভাব খাটিয়ে মেঘনার জায়গা ভরাট করা হচ্ছে।

আমরা তাদের কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। আমরা তাদের কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য সুযোগ দেব। আমাদের বাঁধা অমান্য করে নদী ভরাট করা হলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর