শিরোনাম
বুধবার, ৭ এপ্রিল, ২০২১ ০০:০০ টা

কালভার্ট বিড়ম্বনায় ছয় গ্রামের মানুষ

শেরপুর প্রতিনিধি

কালভার্ট বিড়ম্বনায় ছয় গ্রামের মানুষ

শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার চন্দ্রকোণা ইউনিয়নে কালভার্ট বিড়ম্বনায় ছয় গ্রামের মানুষ। এসব গ্রামের অন্যতম হচ্ছে চরমধুয়া, নামাপাড়া ও মৃগী গ্রাম। এছাড়া এসব গ্রামের নদীর পাড়ে গবার মোড় এলাকায় সরকারের নির্মিত তিনটি কালভার্ট বিড়ম্বনায় পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। ২০২০ সালের শুরুতে দুটি কালভার্ট করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর অপরটি করেছে এলজিইডি। এখানে পানি প্রবাহের কোনো পথ নেই। তবু কেন এই কালভার্ট করা হয়েছে তা এলাকার মানুষ জানেন না। কালভার্টগুলো নির্মাণের ৪/৫ মাসের মধ্যেই সংযোগসহ সড়ক ভেঙে গেছে। ফলে ওই সড়কে চলাচল করতে পাচ্ছে না এলাকার মানুষ। তিনটি কালভার্টই বাস্তবায়ন করেছে নকলা পিআইও অফিস। জানা গেছে ওই সড়কের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আওতায় ৩০ গজের মধ্যে পাশাপাশি দুটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়। ব্যয় হয়েছে ৬১ লাখ টাকা। এই কালর্ভাট দুটি নির্মাণের কয়েক মাসের মধ্যে উদ্বোধন করার আগেই ভেঙে গেছে। এর আগে ২০১২ সালে সাড়ে ২২ লাখ টাকা ব্যয়ে সেখানে আরেকটি কালভার্ট নির্মাণ করে এলজিইডি। এ কালভার্টটি ৩/৪ বছর টিকেছে। ৫০ গজের মধ্যে এই তিনটি কালভার্টে সরকারের খরচ হয়েছে প্রায় ৮৩ লাখ টাকা। এলাকার মানুষ বলেছেন এই কালভার্টগুলোর কোনো দরকার ছিল না। কি প্রয়োজনে করা হলো কেউ জানে না। কালভার্টগুলো কোনো কাজেই আসেনি। বরং কালভার্টের সঙ্গে সড়কটিও ভেঙে গেল বর্ষায়। এছাড়া নদী থেকে বালি উঠে অন্তত ২৫ বসতবাড়ী, ৩০০ একর জমির ধান খেত ও অন্যান্য ফসল নষ্ট করেছে। সড়ক দিয়ে চলাচলের কোনো অবস্থাই নেই। ওই এলাকার কাজিয়ার চর, হাতিমারা, দধিয়ার চর, ডিগ্রীর চর, চর মধুয়া, নামাপাড়ার হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছেন। অসুস্থতায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা যাওয়া সব কিছুই করতে হয় খেতের আইল দিয়ে। এলাকার কৃষক স্বপন মিয়া, রফিকুল ইসলাম ও আতিকুল ইসলাম জানিয়েছেন প্রয়োজন ছাড়া শুধু শুধু সরকারি টাকা এখানে ব্যয় করা হয়েছে। তাদের দাবি -আমরা বারবার বেড়িবাঁধ চেয়েছি। করা হলো কালভার্ট। কালভার্ট তিনটি সড়ক নিয়ে ভেঙে পড়ায় এমন দূরাবস্থা। কালভার্টের টাকায় সড়ক নির্মাণ করলেই হতো। কালভার্ট নির্মাণের সময় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ এনেছেন স্থানীয়রা। ইউপি চেয়ারম্যার সাজু সাঈদ সিদ্দিকি জানিয়েছেন একটি কালভার্ট হওয়ার কথা ছিল। হয়েছে তিনটি। সব দায়িত্ব ছিল পিআইও (প্রকল্প ) অফিসের। কাজের মান নিয়ে  প্রশ্ন তুলে সাজু আরও বলেন একে তো বালুর উপর কালভার্ট তার উপর গত বছরের অধিক বন্যায় এই অবস্থার সৃষ্টি করেছে।

সর্বশেষ খবর