শনিবার, ৮ মে, ২০২১ ০০:০০ টা

সমতলে ধান চাষে অল্প খরচে অধিক লাভ

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি

সমতলে ধান চাষে অল্প খরচে অধিক লাভ

কৃষিতে আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, নতুন নতুন উচ্চ ফলনশীল উদ্ভাবনের পর এবার ধানের উৎপাদন বাড়াতে পরিবর্তন আনা হয়েছে চাষাবাদে। নতুন এ পদ্ধতির নাম সমলয় পদ্ধতি। চলতি বোর মৌসুমে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সমলয় পদ্ধতিতে জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে। একরপ্রতি ফলন হয়েছে ৭৫ মণ ধান। যা প্রচলিত পদ্ধতির চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বেশি। এ পদ্ধদিতে খরচও হয়েছে কম। বেঁচেছে কৃষকের সময় ও শ্রম। এ বছর সরকারি প্রণোদনায় শ্রীমঙ্গল উপজেলায় সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষের প্রদশর্নী প্লট দেওয়া হয়েছিল। পশ্চিম আশিদ্রোন গ্রামের ৪৮ জন কৃষককে একত্র করে ৫০ বিঘা জমিতে এ পদ্ধতিতে হাইব্রিড টিয়া জাতের ধান রোপণ করানো হয়েছিল। ১৭ জানুয়ারি ট্রান্সপ্লান্টার দিয়ে জমিতে চারা রোপণ করা হয়। ১৩০ দিন পর কম্বাইন হার্ভেস্টার দিয়ে ধান কাটা হয়। ৫০ বিঘা জমিতে ফলন হয়েছে ৩ হাজার ৭৫০ মণ। স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সমলয় পদ্ধতি হলো সবাই মিলে একসঙ্গে একই সময়ে একই জাতের ধান রোপণ করা। এ পদ্ধতিতে ধান আবাদ করতে হলে চারা তৈরি করতে হবে ট্রেতে। ফলে মাঠে জমির অপচয় কম হবে। সেই চারা রোপণ করতে হবে রাইচ ট্রান্সপ্লান্টার মেশিন দিয়ে। এতে সব চারা একই গভীরতায় সমানভাবে লাগানো যায়। জমিতে সার, কীটনাশক ব্যবহার, আগাছা পরিষ্কার সবই করতে হবে একই সময়ে। ধান কাটা, মাড়াই ও বস্তাবন্দীও করতে হবে একসঙ্গে। ফজুর মিয়া নামে কৃষক জানান, নতুন এ নিয়মে ধান চাষ করে ভালো ফলন হয়েছে। খরচও লেগেছে কম। আমাগীতে তিনি এই পদ্ধতিতেই ধান চাষ করবেন বলে জানান।

শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন মোনালিসা সুইটি বলেন, ‘সবাই সমমনা না হলে কোনো কাজ সঠিকভাবে করা যায় না। যে কোনো কাজই মিলেমিশে করলে ফল ভালো হয়। আমরা উপজেলার কয়েকজন কৃষককে একত্র করে সমলয়ে ধান চাষ করিয়েছিলাম। মূলত এ পদ্ধতির সঙ্গে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে এ প্রচেষ্টা।’ মৌলভীবাজার জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক লুৎফুর বারী বলেন, ‘সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষ কৃষকদের জন্য খুব লাভজনক। সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়ে বঙ্গবন্ধু সমবায়ের মাধ্যমে চাষাবাদ করার আহ্বান করেছিলেন। আমরা এই বছর জেলার শুধু এক উপজেলায় এ পদ্ধতিতে ধান চাষ করিয়েছে। আগামীতে সমলয় পদ্ধতিতে ধান চাষ আরও বাড়ানো হবে।

সর্বশেষ খবর