বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

ভাঙনে দিশাহারা নদীপাড়ের মানুষ

নাসির উদ্দিন, টাঙ্গাইল

ভাঙনে দিশাহারা নদীপাড়ের মানুষ

যমুনা নদীর অব্যাহত ভাঙনে পাল্টে গেছে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার দৃশ্যপট। চারদিকে এখন পানি আর পানি। নদীর পাড় ভাঙে আর বাড়ে যমুনার সীমানা। সঙ্গে বাড়ে নদীপাড়ের মানুষের কান্না।

সরেজমিন নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের ঘুনিপাড়া ও তেবাড়িয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, শত শত একর ফসলি জমি, বহু ঘরবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মাদ্রাসা, কবরস্থান ইতিমধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। অনেকে ঘরবাড়ি, গবাদিপশু অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। কেটে নিচ্ছেন গাছপালা। কেউ কেউ খেতের ফসল ঘরে তোলারও সুযোগ পাননি। ভাঙনকবলিত এলাকার মধ্যে রয়েছে নাগরপুর উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের পাইকশা মাইঝাইল, ঘুনিপাড়া, তেবাড়িয়া, চর সলিমাবাদ, ভূতের মোড়, ভারড়া ইউনিয়নের শাহজানি, মারমা, পাঁচতারা, আগদিঘলীয়া। তেবাড়িয়া গ্রামের কৃষক দানেজ শেখ বলেন, গত দুই বছরে আমি ছয় বার বাড়ি সরিয়ে নিয়েছি। এখন আমার যাওয়ার মতো কোনো জায়গা নেই। পোলাপান নিয়ে কি করব কোথায় যাব? স্থানীয় আলতাব হোসেন বলেন, এবার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমার বাড়ি ভেঙে যায়। আমার মতো এমন অসহায় অবস্থায় আর যেন কেউ না পড়ে। জানা গেছে, যমুনার ভাঙন থেকে ঘুনিপাড়া এলাকা রক্ষার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ৩০ লাখ টাকার প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রায় ৬৫ মিটার ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। তেবাড়িয়া ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রাজা মিয়া বলেন, আমার ওয়ার্ডে দুই হাজার ৭৭৫ জন ভোটার আছেন। এর মধ্যে অর্ধেক ভোটার এ নদীপাড়ের বাসিন্দা। যমুনার ভাঙনের কারণে ঘরবাড়ি নিয়ে তারা একটু আশ্রয়ের জন্য বিভিন্ন এলাকায় চলে যাচ্ছেন। আমি জনপ্রতিনিধি হিসেবে সরকারের কাছে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জোড় দাবি জানাচ্ছি। টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী সোলায়মান ভূইয়া বলেন, ‘ভাঙন রোধে সাময়িক ইমার্জেন্সি কাজ চলছে। এটা কোনো স্থায়ী সমাধান না।  ভাঙন ঠেকাতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের বিকল্প নেই বলেও জানান তিনি।

সর্বশেষ খবর