সোমবার, ১৯ জুলাই, ২০২১ ০০:০০ টা

নদী খননের মাটি লুট

নওগাঁ প্রতিনিধি

নদী খননের মাটি লুট

নওগাঁর তুলশীগঙ্গা নদী খননের মাটি কেটে লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে নদীর পাড় নিচু হয়ে বর্ষা মৌসুমে ‘রভার ফ্লো’ হয়ে এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। নওগাঁ সদর উপজেলার খিদিরপুর, পিরোজপুর ও সুলতানপুর গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে তুলশীগঙ্গা নদী। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সদর উপজেলার ত্রিমোহনীহাট রেগুলেটর থেকে তুলশীগঙ্গা ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার নদী খনন কাজ শুরু করে। যা শেষ হয়েছে কিছুদিন আগে। খননের সময় মাটি নদীর দুই পাড়ে রাখা হয়েছিল। অভিযোগ আছে, পাউবোর্ডের নজরদারির অভাবে যে যার মতো মাটি কেটে সরিয়ে নিচ্ছে। অনেকে রাতের আঁধারে নদীর মাটি বিভিন্ন ইটভাটায়ও দিয়েছেন। গত ফেব্রুয়ারি খিদিরপুর মুন্সিপাড়া গ্রামবাসীর সঙ্গে মাটি ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষও ঘটেছে। সবশেষ কয়েকদিন থেকে দুইটি স্কেভেটর ও ১০-১২টি ট্রাক্টর দিয়ে চন্ডিপুর বোর্ড ব্রিজের পাশ থেকে নদীর পাড়ের মাটি কেটে পুকুর ভরাট করছেন এলাকার এক প্রভাবশালী ব্যক্তি। স্থানীয়রা জানান, নদীপাড়ের মাটি কেটে পুকুর ভরাট করা হচ্ছে। যাদের দেখার দায়িত্ব তারা যদি না দেখেন আমরা কি করব? তারা অভিযোগ করেন, নদীর মাটি যে যার মতো কেটে নিচ্ছেন। রাস্তার তুলনায় বাঁধ নিচু হয়ে গেছে। নদীতে পানি বেশি এলে এলাকা প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। পুকুর মালিক আব্দুল মতিন বলেন, নদী খননের সময় তাদের জায়গায় মাটি রাখা হয়েছিল। এতে ওই জমির সব আবাদ নষ্ট হয়েছে। এখনো আবাদ করতে পারছি না। ৩-৪ দিন থেকে মাটি সরানোর কাজ করছি। পাউবো বলেছে যে যার মতো মাটি সরিয়ে নিতে। নদীর পাড়ের মাটি দিয়ে পাশেই নিজেদের পুকুর ভরাটের কাজ করছি। পাউবোর নওগাঁর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফউজ্জামান খাঁন বলেন, কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি সাপেক্ষে নিচু জায়গা, মসজিদ, মন্দির ও সেবামূলক কাজে ভরাট করা যাবে। তবে ব্যক্তিগত কোনো জায়গায় ভরাটের জন্য কেউ নদীর মাটি ব্যবহার করতে পারবেন না। মাটি লুটের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়েছিলাম। সেখানে কাউকে পাওয়া যায়নি। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মির্জা ইমাম উদ্দিন বলেন, জনকল্যাণমূলক এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক হলে মাটি সরিয়ে নিতে পারবেন। ব্যক্তিগত কাজে নদীর পাড়ের মাটি কাটা যাবে না। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর