এক সময়ে বিভিন্ন বন্য জীবজন্তুর অবাধ বিচরণের অভায়রণ্য ছিল দিনাজপুরের বীরগঞ্জ শালবন। যদিও এখন আর সেই বাঘ, নীলগাই নাই। তবে সুন্দর নিরিবিলি গাছ-গাছালির মোহনীয় প্রকৃতির নয়নাভিরাম এই শালবনকে জাতীয় উদ্যান ঘোষণা করা হয়েছে। যা দর্শনাথী, পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ। এই জাতীয় উদ্যানের অংশ দিনাজপুরের বীরগঞ্জের শালবন ও ৪ কিলোমিটার দূরত্বে সিংড়া ফরেস্ট। যদিও সিংড়া ফরেস্টকে কিছুটা পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করা হলেও সেই তিমিরেই পড়ে আছে বীরগঞ্জ শালবনটি। ঢাকা-পঞ্চগড় মহাসড়কের পূর্ব পার্শ্বে ঢেপা নদীর পশ্চিম তীরে মনোরম পরিবেশে বীরগঞ্জের ঐতিহাসিক এ শালবনটি। ব্যস্ততম শহরের কোলাহল থেকে মুক্তি পেতে নিরিবিলি পরিবেশে মায়াবী হাতছানীর এক অনুপম দৃশ্য বীরগঞ্জ শহরের সঙ্গের এই শালবনটি। প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে উঠা এই শালবন তথা জাতীয় উদ্যানটি একটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট। সারি সারি আকাশ ছোঁয়া দীর্ঘ সুউচ্চ শাল গাছের সবুজ আচ্ছাদন পর্যটকদের দূর থেকে যেন হাতছানি দিয়ে ডেকে যায়, যা উপেক্ষা করা যে কোনো পর্যটকের কষ্টসাধ্য। বনের মধ্য দিয়ে মেঠো পথে একাকি হাঁটতে হাঁটতে এ সময় হয়ত মনে পড়বে সেই পুরনো দিনের গান। বনে প্রবেশেই শোনা যাবে পাখির কিচিরমিচির শব্দ। দেখা যাবে তিলা ঘুঘু, রাজঘুঘু, কাঠঠোকরা, বুলবুলি, হাঁড়িচাচা পাখি, শকুনসহ অনেক পাখি। দেখা যাবে বিভিন্ন প্রজাতির বাহারী গাছ। বনের গভীরে যেতে চোখে পড়বে প্রাচীন পত্রঝরা বনাঞ্চল শালবন। তবে শাল ছাড়াও জারুল, তরুল, শিলকড়ই, শিমুল, মিনজিরি, সেগুন, গামার, আকাশমনি, ঘোড়ানিম, সোনালু, গুটিজাম, হরিতকিসহ নাম না জানা উদ্ভিদ ও লতাগুল্ম গাছ রয়েছে। এ ছাড়া খরগোশ, শেয়াল, সাপ, বেজি এবং বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও পতঙ্গ দেখতে পাওয়া যাবে এই বনে। বীরগঞ্জ শহরের এ জাতীয় উদ্যানটি বর্তমানে সংস্কার ও পৌর কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টির অভাবে জুয়াড়ুদের আড্ডায় পরিণত হয়েছে। এটি পৌর কর্তৃপক্ষ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও উপজেলা প্রশাসন সংরক্ষিত এলাকা জাতীয় উদ্যানটির দিকে যৌথভাবে চিত্তবিনোদনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ গড়ে তোলে, তবে এটি এ অঞ্চলে পর্যটকদের আরও একটি দর্শনীয় স্থানে পরিণত হবে। স্থানীয় আব্দুর রাজ্জাক, রেজাউল ইসলাম, লালুসহ অনেকে জানান, একটি টাওয়ার স্থাপন, শিশু পার্ক তৈরি, ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য রেস্ট হাউজ, নিরাপত্তা চৌকি, সুন্দর একটি ফটক নির্মাণসহ কিছু সংস্কারমূলক কাজ করা হলে এখানে দর্শনার্থীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় হবে। আর দর্শনার্থী হলে রাজস্ব আয়ের পাশাপাশি শালবন হয়ে উঠতে পারে পর্যটকদের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। বনবিভাগের গদাধর রায় বলেন, বীরগঞ্জ জাতীয় উদ্যানের এ শালবনটি মাকড়াই ও জগদল মৌজার ১৬৯.৬২ একর জমি নিয়ে গঠিত হয়েছে। ঠাকুরগাঁও রেঞ্জের আওতায় জাতীয় উদ্যান জাতের আমলকি, হরিতকি, বহেড়া, জাম, জামরুল, জলপাই, পিতরাজ, হলুদ, চিকরাশি, বেল, কদম, গোলাপজাম, জাম্বুরা, চালতা, শিদা, শিমুল, কাঞ্চনসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত ২০১০ সালের ১০ অক্টোবর জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করেছে বনবিভাগ।
শিরোনাম
- প্রথম মরক্কান হিসেবে আফ্রিকার বর্ষসেরা হাকিমি
- ভারতকে হারিয়ে র্যাঙ্কিংয়ে তিন ধাপ এগুলো বাংলাদেশে
- ভারতের সঙ্গে পূর্ণমাত্রায় যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কা পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
- জাতীয় পুনর্জাগরণের নেতা
- চিড়িয়াখানায় ঠাঁই হলো সেই মুখপোড়া হনুমানের
- তত্ত্বাবধায়ক ফেরা প্রশ্নে আপিলের রায় আজ
- রাবি শিক্ষার্থীদের ওপর দুর্বৃত্তদের হামলার প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ
- বিপিএল নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
- স্বর্ণের দাম বেড়েছে
- বগুড়ায় তারেক রহমানের পক্ষে ভোট চেয়ে পথসভা ও গণসংযোগ
- গাজায় ৩ হাজার পুলিশ সদস্যকে প্রশিক্ষণ দিতে চায় ইইউ
- অজিত দোভালকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানালেন খলিলুর রহমান
- শেখ হাসিনাকে বন্দী বিনিময় চুক্তির মাধ্যমে ফিরিয়ে রায় কার্যকর করতে হবে : দুলু
- সাইফের স্ট্যালিয়ন্সকে হারাল তাসকিনের নর্দান ওয়ারিয়র্স
- তা’মীরুল মিল্লাত মাদরাসার টঙ্গী শাখা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা
- ৪২ বছর বয়সে বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পেলেন স্কটিশ গোলরক্ষক গর্ডন
- দেশে থেকেই কার্ড দিয়ে বিদেশি রুটের বিমানের টিকিট কেনা যাবে
- জিয়া পরিবার ফোবিয়ায় যারা ভোগেন, তাদের জনভিত্তি নেই : প্রিন্স
- বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করলো ডেনমার্ক
- গণভোট নিয়ে অধ্যাদেশ জারির পর করণীয় বিষয়ে পদক্ষেপ : সিইসি
শালবনে সবুজের হাতছানি
দর্শনার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা এই শালবন
রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর
প্রিন্ট ভার্সন
এই বিভাগের আরও খবর