শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ টা

জেলে-মৌয়ালদের বিএলসি নবায়নে বাড়তি অর্থ আদায়

প্রতিবাদ করলেই বন আইনে মামলা

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জে বোট লোডিং সার্টিফিকেট (বিএলসি) নবায়নে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বন বিভাগের বিরুদ্ধে। প্রতি বছর সুন্দরবনে মাছ, কাঁকড়া, মধু ও গোলপাতা আহরণের জন্য নৌকার ধরন অনুযায়ী সরকারিভাবে নির্ধারিত ফি দিয়ে বিএলসি নবায়ন করতে হয় বনজীবীদের। অভিযোগ আছে, বিএলসি নবায়নে মাঠে রয়েছে দালাল চক্র। তারা প্রত্যেক গ্রাহকের কাছ থেকে বিএলসি নবায়ন করতে ৭০০-১০০০ টাকা করে নিচ্ছেন। আর ভ্রমণ ট্রলারের বিএলসি ১২০০-১৮০০ টাকার পরিবর্তে নেওয়া হচ্ছে ৩৫০০ টাকা। গত ৩১ জুলাই নির্ধারিত সময়সীমা পার হলেও চলতি বছরের বিএলসি নবায়ন কাজ শেষ করতে পারেনি বনবিভাগ। সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী প্রতি ১০০ মণ পরিমাপের নৌকার বিএলসির সরকারি রাজস্ব ২৪ টাকা। ৫০ মণে ১২ টাকা। আর ২৫ মণ পরিমাণের নৌকায় রাজস্ব ছয় টাকা। কিন্তু ২৫ মণের নৌকার বিএলসি নবায়নে ২০২১-২২ অর্থবছরে জেলেদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা। একাধিক জেলে, বাওয়াল, মৌয়ালসহ বিএলসি নবায়নকারী জানান, নৌকা অনুযায়ী সরকার নির্ধারিত অর্থের চেয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাড়তি টাকা আদায় করছে। এ ব্যাপারে কথা বললে বন আইনে মামলা খেতে হয়। ভুক্তভোগীরা বলেন, বর্তমানে বনে প্রবেশের পাশ বন্ধ। আমাদের কোনো আয় নেই। তারপরও অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে বিএলসি নবায়ন করতে হয়েছে। কেউ বাড়তি টাকা আদায়ের প্রতিবাদ করলে তার বিরুদ্ধে একাধিক বন আইনে মামলা দেওয়া হয়। দালালের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা দিতে অস্বীকার করলে প্রত্যেকের নৌকা স্টেশনে এনে মাপ জরিপ করে আরও বেশি অর্থ আদায় করে থাকে। সাতক্ষীরা রেঞ্জের বুড়িগোয়ালীনি স্টেশন কর্মকর্তা সুলতান আহম্মেদ জানান, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী বিএলসি নবায়ন করা হয়েছে ৩১ জুলাই পর্যন্ত। বর্তমানে জরিমানাসহ নবায়ন কার্যক্রম চলছে। অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার অফিসের বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের কোনো অভিযোগ নেই। কোনো জেলের সঙ্গে বাইরের কেউ লেনদেন করলে সেটা আমার জানার বিষয় নয়।’

সর্বশেষ খবর