শুক্রবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

তিন মাস পানিবন্দী ৩০০ পরিবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

তিন মাস পানিবন্দী ৩০০ পরিবার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে জলমগ্ন এলাকা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে নির্মিত ইট বিছানো রাস্তা সংযোগ স্থাপন করেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর ও পাশের সরাইল উপজেলার মধ্যে। এই রাস্তায় ১২টি কালভার্ট রয়েছে পানি নিষ্কাশনের জন্য। এর মধ্যে দুটির অবস্থান নাসিরনগর উপজেলার ঘুজিয়াখাই গ্রামে। ঘুজিয়াখাইসহ আশপাশের পানি এ কালভার্ট দিয়ে বের হয়ে বেমালিয়া নদীতে নেমে যেত। স্থানীয় দুই ব্যক্তি কালভার্ট দুটির সামনের অংশ বালি দিয়ে ভরাট করে ঘর নির্মাণ করেছে বলে দাবি স্থানীয়দের। এতে বন্ধ হয়ে গেছে পানি নিষ্কাশনের পথ। এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৩০০ পরিবার। স্থানীয়দের দাবি, তিন মাস ধরে পানিবন্দী হয়ে থাকায় ওই সব পরিবারের সদস্যরা আক্রান্ত হচ্ছেন পানিবাহিত নানা রোগে। স্কুলে যেতে পারছে না অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী। বিশুদ্ধ পানির অভাবে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া তলিয়ে গেছে কৃষকের সবজি বাগান। অনেকে বসতবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন। এলাকার একমাত্র চকবাজারটির একাংশও পানির নিচে। নাসিরনগর উপজেলার উপ-সহকারী প্রকৌশলী ইসহাক মিয়া বলেন, ঘুজিয়াখাই গ্রামের জলাবদ্ধতার কথা কেউ আমাদের জানায়নি। জলাবদ্ধতার প্রকৃত কারণ জেনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘুজিয়াখাই গ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চকবাজারসহ এলাকার অধিকাংশ মানুষ পানিবন্দী। গ্রামের একমাত্র সড়ক, মৌসুমি সবজি বাগান ও বাড়ির আঙিনা পানিতে একাকার হয়ে রয়েছে। দেখলে মনে হয় যেন বন্যাকবলিত এলাকা। ঘুজিয়াকাই গ্রামের চকবাজার কমিটির সভাপতি আবদুল মজিদ বলেন, দুটি কালভার্ট মুখ পথ বন্ধ করায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এ গ্রামের ৩০০ পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। পানি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে চারপাশে। স্থানীয় চাতলপাড় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবদুল আহাদ জানান, কেউ যদি পানি প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর