বগুড়ার ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য রেশমা খাতুনকে (৩৮) হত্যার ঘটনায় ধুনট থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল রাতে নিহতের ছোট ভাই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ধুনট থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ধুনট থানার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা জানান, ইউপি সদস্য রেশমা খাতুন গত ৫দিন আগে নিখোঁজ হন। কিন্তু এ বিষয়ে এর আগে ধুনট থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। হত্যাকান্ডের বিষয়টি রহস্যজনক। এ ঘটনায় গত বুধবার রাতে নিহতের ছোট ভাই বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেছেন। পুলিশ এই হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে বলেও জানান তিনি। ধুনট থানা পুলিশ জানায়, উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের ভ্যান চালক ফরিদ উদ্দিনের সঙ্গে গত ২০ বছর পূর্বে সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া এলাকার আলতাফ হোসেনের মেয়ে রেশমা খাতুনের বিয়ে হয়।

তাদের দাম্পত্য জীবনে ১০ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছেলে ও ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক মেয়ে রয়েছে। ২০১৬ সালে মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭, ৮, ৯ নং সংরক্ষিত আসনে নারী ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয় রেশমা খাতুন। এদিকে ১৮ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যায় রেশমা খাতুন। কিন্তু এ ঘটনায় গত ৫ দিনেও ধুনট থানায় কোনো জিডি বা অভিযোগ করেনি তার স্বামী বা স্বজনরা। নিখোঁজের এক পর্যায়ে গত বুধবার স্বামীর বাড়ির অদূরে একই ইউনিয়নের কুঁড়িগাতি গ্রামের বস ইটভাটা নামক স্থানের একটি ধান খেত থেকে ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় ইউপি সদস্য রেশমা আকতারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।