বৃহস্পতিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

কুড়িগ্রামে বন্যায় ক্ষতি কৃষিতে ৩১ কোটি টাকা

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামে বন্যায় ক্ষতি কৃষিতে ৩১ কোটি টাকা

সদর উপজেলার নওয়াবশ এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ধান খেত

কুড়িগ্রামে চলতি বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষকরা। নষ্ট হয়েছে সদ্য রোপণ করা আমন চারা, বীজতলা, বিভিন্ন প্রকার শাকসবজি খেত। ভেসে গেছে বিভিন্ন পুকুর ও ঘেরের মাছ। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্যমতে বন্যায় কুড়িগ্রামের ২৬ হাজার ৪০৫ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গেছে। মৎস্য বিভাগ জানায়, চলতি বন্যায় জেলার ২৯১টি পুকুরের মাছ ভেসে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ২৬২ জন মৎস্যজীবী। সব মিলিয়ে সম্প্রতি দুই সপ্তাহের বন্যায় শুধু কৃষি খাতে ক্ষতি হয়েছে ৩১ কোটি তিন লাখ ৭০ হাজার টাকা। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সংখ্যা ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৭৯ জন। এ ছাড়া পুকুর তলিয়ে যাওয়ায় মৎস্য বিভাগের ক্ষতির পরিমাণ ৭৪ লাখ ৫১ হাজার টাকা। কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, গত ২১ আগস্ট থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্থায়ী বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে রোপা আমনের। সবজি চাষিরা তুলনামূলক কম ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ১ হাজার ১৯৫ হেক্টর সবজির মধ্যে ৬১ হেক্টর সম্পূর্ণ বিনষ্ট হয়েছে। আর ৬৭ হেক্টর বীজতলা পচে চাষের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বন্যায় বেশি ক্ষতি হয়েছে সদর, চিলমারী, নাগেশ্বরী ও উলিপুর উপজেলায়। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালিপদ রায় জানান, চলতি বন্যায় ৪৪ দশমিক ৬০ হেক্টর আয়তনের ২৯১টি পুকুর প্লাবিত হয়ে ৬৪ দশমিক ৬০ মেট্রিকটন মাছ ভেসে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ২৬২ জন মৎস্য চাষি। মোট ক্ষতি হয়েছে ৭৪ লাখ ৫১ হাজার টাকার। জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ডা. আবদুল হাই সরকার জানান, সাম্প্রতিক বন্যায় গো-চারণভূমি ডুবে যাওয়ায় গবাদি পশুরও অনেক সমস্যা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল হক জানান, সরকারিভাবে যে বীজতলা করে দেওয়া হয়েছে, সেখান থেকেও কৃষক বীজ নিয়ে কাজে লাগাচ্ছেন। এতে বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে কৃষকরা ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন।

সর্বশেষ খবর