রবিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

পাতকুয়ায় সুফল পাচ্ছেন প্রান্তিক চাষিরা

বাবুল আখতার রানা, নওগাঁ

পাতকুয়ায় সুফল পাচ্ছেন প্রান্তিক চাষিরা

নওগাঁর মহাদেবপুরে প্রান্তিক কৃষকদের সবজি ও বোরো ধান চাষে বিনামূল্যে সেচ সুবিধার জন্য স্থাপন করা হয়েছে সৌরবিদ্যুৎচালিত পাতকুয়া। এ উপজেলায় ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ২৬টি পাতকুয়া নির্মাণ করা হয়। প্রতিটি পাতকুয়া ৩ হেক্টর জমিতে সেচ দিতে সক্ষম। সে হিসাবে ২৬টি পাতকুয়ায় প্রায় ৭৫০ বিঘা জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। আর কৃষক ও প্রকল্পের সুবিধাভোগীরা বলছেন, পাতকুয়াগুলোর ফলে তাদের দৈনন্দিন জীবনমান পাল্টে গেছে। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) সূত্রে জানা যায়, পাতকুয়া খননের মাধ্যমে বরেন্দ্র এলাকায় স্বল্প সেচে ফসল উৎপাদন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার বিভিন্ন মৌজায় ২৬টি পাতকুয়া নির্মাণ করা হয়। কৃষি মন্ত্রণালয়ের এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে বিএমডিএ। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে শুরু হয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরের জুন মাসে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও এর কার্যকারিতা অব্যাহত রয়েছে।  মহাদেবপুরের ভীমপুর ইউনিয়নের বাগাচারা মৌজার পাতকুয়ার উপকারভোগী কৃষক আজিজুর রহমান জানান, গত রবি মৌসুমে প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে তিনি সৌরবিদ্যুৎ দিয়ে সেচ দিয়েছেন। কোনো সমস্যা হয়নি। সম্পূর্ণ বিনা খরচে অনেক চাষি সেচ পাওয়ায় খুশি তারা। বাগাচারা মৌজার আরেক কৃষক আশরাফুল ইসলাম বলেন, পাতকুয়াগুলো সূর্যশক্তিতে চলার কারণে বিদ্যুৎ বা ডিজেল ব্যবহারের প্রয়োজন না হওয়ায় পরিবেশের ভারসাম্য ঠিক থাকছে। চেরাগপুর ইউনিয়নের চৌমাসিয়ার মৌজার স্থাপিত পাতকুয়ার অপারেটর মাজেদুল ইসলাম জানান, গত রবি মৌসুমে কৃষককের পাশাপাশি তিনি নিজে পাঁচ বিঘা জমিতে সবজির চাষ করেছিলেন এবং অন্যরাও এর মাধ্যমে সবজি চাষে লাভবান হয়েছেন। বিএমডিএর মহাদেবপুর জোনের সহকারী প্রকৌশলী ইন্তেখাফ আলম বলেন, সবজি সেচের পাশাপশি কৃষকরা আমন মৌসুমে সম্পূরক সেচও ব্যবহার করছেন। তা ছাড়া পাতকুয়া থেকে এলাকাবাসী খাবার পানি সংগ্রহ করে সুপেয় পানি পানের সুবিধা পেয়ে উপকৃত হচ্ছেন।

 বিএমডিএর নওগাঁ রিজিয়ন-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল মালেক চৌধুরী বলেন, প্রকল্পের আওতায় থাকা ২৬০ জন কৃষক বিনামূল্যে সেচ সুবিধা পেয়ে বেশ উপকৃত হচ্ছেন। আর প্রতিটি পাতকুয়া সচল রয়েছে। শুধু তাই নয়; লক্ষ্যমাত্রার অধিক জমিতে সেচ দেওয়া হচ্ছে পাতকুয়ার মাধ্যমে।

সর্বশেষ খবর