রবিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২১ ০০:০০ টা

ধ্বংসের পথে সরকারি কর্মকর্তাদের বাসস্থান

গৌতমাশিস গুহ সরকার, গাইবান্ধা

ধ্বংসের পথে সরকারি কর্মকর্তাদের বাসস্থান

গাইবান্ধায় শহরের বাংলাবাজার এলাকায় গণপূর্ত বিভাগ ১৯৮৬ সালে সোয়া ৫ একর জমির ওপর  জেলার গেজেটেড অফিসারদের বসবাসের জন্য স্টাফ কোয়ার্টার নির্মাণ করে। কিন্তু দীর্ঘ ২০ বছর ধরে সেখানে কেউ বসবাস করছে না। ‘হাউস রেন্ট’ বাঁচাতে অফিসাররা এখন জেলা পরিষদের ডাকবাংলো অথবা বেসরকারি কোনো বাসায় স্বল্প ভাড়ায় থাকছেন। ফলে অফিসার্স কোয়ার্টারের ভবনগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় অযত্ন অবহেলায় ধ্বংস হতে বসেছে। হয়ে উঠেছে অসামাজিক কার্যকলাপের নিরাপদ স্থান। সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে বিশাল চত্বরে চারদিকে দেয়াল ঘেরা থাকলেও প্রধান ফটক অরক্ষিত থাকায় খেলার মাঠ এবং ফাঁকা জায়গায় গরু চরছে। ‘সবিতা’ নামের তিনতলা ভবন, ‘উত্তরা’ ‘নন্দিতা’ এবং ‘ললিতা’ নামের দোতলা ভবনে ১৮টি ফ্ল্যাট আছে। কিন্তু ভবনগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় ইতিমধ্যেই ব্যবহার অনুপযোগী। ভবনগুলোর গা বেয়ে বড় হচ্ছে গাছগাছালি, লতাপাতা। দরজা-জানালা, গ্রিল, বিদ্যুৎ ও পানির লাইনের যন্ত্রপাতি, বেসিন, ফিটিংস ইত্যাদি চুরি হয়ে গেছে। খসে পড়েছে ইট, পলেস্তরা। শুধু তাই নয়, সীমানা প্রাচীর ভেঙে ইট পর্যন্ত খুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এভাবে একে একে বিভিন্ন সম্পদ লুট করে নিয়ে গেলেও কারোর এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই। প্রতিদিন দুপুর থেকে গভীর রাত অবধি নির্জনতার সুযোগে অসামাজিক কার্যকলাপের ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে ভবনগুলো। গণপূর্ত বিভাগে কথা বলে জানা যায়, কর্মকর্তারা কোয়ার্টারে না থেকে অফিসার্স ডরমেটরি, জেলা পরিষদের ডাকবাংলো, বিভিন্ন বিভাগের নিজস্ব রেস্ট হাউস ও কম টাকার ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করলে গণপূর্ত বিভাগের আওতাধীন এ অফিসার্স কোয়ার্টারটি ফাঁকা হতে শুরু করে।

২০০১ সালের দিকে এটি একেবারে ফাঁকা হয়ে যায়। এ বিষয়ে গাইবান্ধা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবিল আয়াম বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা আর কেউ কোয়ার্টারে থাকতে চান না। ব্যবহার না করায় ভবনগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এগুলোর সংস্কার ও মেরামতের জন্য কয়েক বছর আগে ঢাকায় প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তাতে অনুমতি পাওয়া যায়নি।

সর্বশেষ খবর