রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বাঁশের সাঁকোয় ৫০ বছর পারাপার

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

বাঁশের সাঁকোয় ৫০ বছর পারাপার

লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নে রত্নাই নদীর ওপর একটি সেতুর অভাবে দুই পাড়ের মানুষ চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। একটি বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ৫০ বছর ধরে পারাপার হচ্ছেন তারা। দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন অনেকে। এলাকাবাসীর জানান, চরকুলাঘাটে যাওয়ার সময় অনেক কষ্ট করতে হয়। এখানে একটি পাকা সেতু হলে আমাদের সুবিধা হবে। চরকুলাঘাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, আমাদের এই এলাকা থেকে বিদ্যালয়ে যেতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। রত্নাই নদীর ওপর সেতু হলে দুই পাড়ের মানুষের খুব উপকার হবে। জনপ্রতিনিধিরা কথা দেন কিন্তু কথা রাখেন না। কুলাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী বলেন, বার বার সেতুর জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও ফল পাচ্ছি না। ইউনিয়ন পরিষদের তেমন কোনো বরাদ্দ না থাকায় সেতুটি করা সম্ভব হচ্ছে না। বরাদ্দ পেলে জনগুরুত্বপূর্ণ ওই এলাকায় সেতু নির্মাণ করা হবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের চরকুলাঘাট-মিদুয়ারকুটি-কালিরপাঠ গ্রামের মানুষ রত্নাই নদীর অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো দিয়ে সদর উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছেন। অনেকে পা পিছলে নদীতে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন কেউ কেউ। রত্নাই নদীর বাঁশের সাঁকোর উত্তর পাশে চরকুলাঘাট গ্রাম ও০ চরকুলাঘাট উচ্চ বিদ্যালয়। পূর্ব দিকে চরকুলাঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরকুলাঘাট দাখিল মাদরাসা অবস্থিত। নদীর দক্ষিণ পাশে রয়েছে মিদুয়ারকুটি ও কালিরপাঠ গ্রাম। এ এলাকা কৃষিনির্ভর হিসেবে পরিচিত। এখানে ধান, পাট, ভুট্টা, আলু, শাক-সবজিসহ নানা ফসল উৎপাদন হয়। পাকা সেতু না থাকায় এ এলাকায় স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, কৃষকসহ সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর