সোমবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

স্ত্রী-দুই সন্তানকে শনাক্ত করতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ঘুরছেন রাসেল

বরগুনায় লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড

বরগুনা প্রতিনিধি

স্ত্রী-দুই সন্তানকে শনাক্ত করতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ঘুরছেন রাসেল

ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকান্ডে স্ত্রী আর দুই শিশুসন্তানকে হারিয়ে কখনো জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কখনো নিহতদের সমাধিস্থলে ঘুরছেন রাসেল ওরফে কালু। অগ্নিকান্ডের আগেই মারা যান রাসেলের শাশুড়ি জাহানারা বেগম (৬০)। শাশুড়ির অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ শনাক্ত করতে পারলেও দুই শিশুসন্তান আবদুল্লাহ (৪) ও আছিয়া (১) এবং স্ত্রী শারমিন আক্তার পান্নার (২৫) মৃতদেহ শনাক্ত করতে পারেননি তিনি। বরগুনা সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের রায়ভোগ গ্রামের কনু হাওলাদারের ছেলে রাসেল। তিনি পেশায় নির্মাণ শ্রমিক। নভেম্বরে স্ত্রী আর সন্তানদের নিয়ে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে ঢাকা যান। শ্বশুরবাড়ি ঢাকার হাজারীবাগের বৌবাজারে। স্ত্রীকে চিকিৎসক দেখিয়ে ফলোআপের জন্য শ্বশুরবাড়ি রেখে রাসেল বরগুনায় চলে আসেন। শাশুড়ি জাহানারা বেগম মেয়ে আর দুই নাতিকে নিয়ে ২৩ ডিসেম্বর অভিযান-১০ লঞ্চে বরগুনা রওনা দেন। ২৪ ডিসেম্বর সকালে জানতে পারেন লঞ্চে অগ্নিকান্ডের সংবাদ। ছুটে যান ঝালকাঠি। সেখানে শাশুড়ির অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ শনাক্ত করতে পারলেও স্ত্রী-সন্তানদের মৃতদেহ শনাক্ত করতে পারেননি। ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল জানতে জেলা প্রশাসকের জুডিশিয়াল শাখায় প্রতিদিন যোগাযোগ করলেও কোনো সমাধান পাননি।

বাংলাদেশ প্রতিদিনকে রাসেল বলেন, ‘আমার স্ত্রী আর দুই সন্তানের কবরটা দেখিয়ে দেন। আর কতদিন ঘুরব?’। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের জুডিশিয়াল শাখার অফিস সহকারী সাইদুল ইসলাম বলেন, ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল পেতে আরও ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগবে বলে তাদের জানিয়েছে সিআইডির ফরেনসিক বিভাগ।

সর্বশেষ খবর