এখনো পরিপক্ব না হওয়ায় লিচু বাজারে আসতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। কিন্তু এর আগেই খানিকটা আগে ভাগেই দিনাজপুরের হিলির বাজারে দেখা মিলছে সুস্বাদু রসালো ও মিষ্টি ফল লিচু। নতুন ফল হিসেবে অনেকে কিনলেও পরিপক্ব না হওয়ার কারণে কেউ কেউ নিচ্ছে না এসব লিচু। গতকাল হিলি বাজারের পুরাতন সোনালী ব্যাংক মোড়ে লিচুর পসরা সাজিয়ে এই লিচু বিক্রেতাকে দেখতে পাওয়া যায়। প্রতি ১০০ পিস মাদ্রাজি জাতের লিচু ২০০ টাকা হিসেবে বিক্রি করছেন সে। গত তিন চার দিন ধরে একই স্থানে লিচু বিক্রি করছেন বলে জানান সে। লিচু কেনা নুরে আলম বলেন, আজকেই বাজার শেষে বাড়ি যাওয়ার পথে প্রথম লিচু চোখে পড়ল। যার কারণে মৌসুমের নতুন ফল হিসেবে ছেলে-মেয়েদের লিচুর স্বাদ গ্রহণ করতে লিচু ক্রয় করলাম। জানিনা লিচু মিষ্টি হবে না টক হবে। মৌসুমের নতুন ফলের কারণে কিনলাম। অপর ক্রেতা ফারুক বলেন, বাজারে এ বছরে প্রথম লিচু দেখে কিনেছি। কিন্তু লিচু ক্রয়ের আগে একটি লিচু খেয়ে দেখি লিচু টক কোনোরকম মিষ্টি হয়নি। এসব লিচু পরিপক্ব হয়নি।
এসব লিচু খাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর যার কারণে আর নেওয়া হয়নি। এ বাজারের লিচু বিক্রেতা ভুট্টু মিয়া বলেন, আমি প্রতিবছর দিনাজপুরসহ আশেপাশের অঞ্চলের বাগান থেকে লিচু সংগ্রহ করে হিলি বাজারে বিক্রি করে থাকি। তবে এখনো ১৫ থেকে ২০ দিনের মতো সময় লাগবে এসব অঞ্চলের লিচু পরিপক্ব হতে ও বাজারে আসতে। তবে ইতোমধ্যেই আমাদের পার্শ্ববর্তী পাঁচবিবি উপজেলার কিছু অঞ্চলের বাগান মালিক বাড়তি লাভের আশায় লিচুতে ঠিকমতো রং না আসতেই ও পরিপক্ব না হতেই গাছ থেকে পেরে লিচু বিক্রি করছেন। নতুন ফল হিসেবে বাজারে চাহিদা থাকায় আমরাও বাগান থেকে এসব লিচু কিনে নিয়ে এসে বাজারে বিক্রি করছি। আমরা বাগান থেকে ১৬০ টাকা প্রতি শ কিনে বাজারে ২০০ টাকা প্রতি শ লিচু বিক্রি করছি। তবে এখনো এসব লিচু মিষ্টি হয়নি যার কারণে যারা কেনার আগে খেয়ে দেখছেন তারা অনেকেই কিনছেন না আবার দু-একজন নতুন ফল হিসেবে কিনছেন। হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. মমতাজ সুলতানা বলেন, এখনো লিচু পুরোপুরি পরিপক্ব হয়নি যার কারণে পরিপক্ব হতে ও লিচু পাকতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। প্রচ তাপদাহের কারণে কিছু লিচুর গায়ে রঙ ধরলেও এগুলো পরিপক্ব হয়নি বা পাকেনি। এসব লিচু খেলে মানুষের পেটে নানারকম সমস্যা হতে পারে। তাই এসব অপরিপক্ব লিচু কেউ যেন বিক্রি করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।
