মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

বাঁশের বেড়া দিয়ে খাল দখল

বরগুনা প্রতিনিধি

বাঁশের বেড়া দিয়ে খাল দখল

বরগুনার আমতলী পৌরসভার সবুজবাগের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত সরকারি খাল বাঁশের বেড়া এবং বালু ফেলে ভরাট করে দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর আগেও খালের কয়েক স্থানে ভরাট করে পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। দখলের কারণে খালটি ধীরে ধীরে সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, সবুজবাগ খালটি স্বাধীনতার আগে থেকে জনসাধারণের ব্যবহৃত সরকারি খাল। খালের পশ্চিম প্রান্তে লঞ্চঘাট এলাকায় ষাটের দশকে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এরপর প্রবাহমান খালটি জলাশয়ে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় কিছু ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে খালটি ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করে আসছেন। একপর্যায়ে ধীরে ধীরে খালটি দখল হতে থাকে। একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি তার জমির সামনে খালটির অর্ধেকের বেশি অংশ দাবি করে বাঁশের বেড়া দিয়ে দখলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর অগেও গুলিশাখালী ইউনিয়নের কালিবাড়ী গ্রামের এক ব্যক্তি বাঁশ এবং চাটাইয়ের বেড়া দিয়ে খালে বালু ফেলে ভরাট করে ভবন নির্মাণ করেছে। সরেজমিন দেখা যায়, সবুজবাগে খালের অর্ধেক বাঁশের বেড়া দিয়ে সেখানে ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। তার পাশেই খালের জমিতে ঘর তুলেছেন আরেকজন। খালের উত্তর প্রান্তও দখল করেছেন কয়েক ব্যক্তি। স্থানীয় বাসিন্দা হারুন অর রশিদ বলেন, শহিদুল ইসলাম তালুকদার খালের অর্ধেকের বেশি দখল করে তাতে বাঁশ এবং চাটাইয়ের বেড়া দিয়ে দখলে নিয়েছেন। খালের পাড়ের বাসিন্দা ভিপি মামুন বলেন, একের পর এক ব্যক্তি খালটি দখল করে নিচ্ছেন। আমরা খাল দখলমুক্ত করার দাবি করছি। সবুজবাগের বাসিন্দা লিটন মৃধা বলেন, যেভাবে খাল দখল শুরু হয়েছে তাতে ভবিষ্যতে এর অস্তিত্ব থাকবে না। সর্বসাধারণের কাজে ব্যবহৃত খালটি প্রশাসনের চোখের সামনে দখল চললেও প্রতিকার হচ্ছে না। অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম তালুকদার বলেন, সরকারি খাল আমি দখল করিনি। আমার রেকর্ডীয় জমি খালে ভেঙে যাওয়ায় আমি তা ভরাট করেছি। আরেক অভিযুক্ত জসিম হাওলাদার খাল দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি রেকর্ডীয় জমিতে ভবন করেছি। আমতলী উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট শাসসুদ্দিন শানু বলেন, খালটি সমিতির মাধ্যমে ইজারা নিয়ে আমরা মাছ চাষ করেছি। সরকারি খাল এভাবে দখল হয়ে গেলে ভবিষ্যতে পরিবেশ বিপর্যায় ঘটবে। আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুল ইসলাম বলেন, সার্ভেয়ারসহ ভূমি অফিসের লোক ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। দখলদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম আবদুল্লা বিন রশিদ বলেন, খাল দখলের বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর