মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

মহাসড়কে আবর্জনার স্তূপ

মহিউদ্দিন মোল্লা, কুমিল্লা

মহাসড়কে আবর্জনার স্তূপ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে আট স্থানে আবর্জনার স্তূপ দিন দিন বাড়ছে। নষ্ট হচ্ছে মহাসড়কের সৌন্দর্য। আবর্জনার তীব্র দুর্গন্ধে দুর্ভোগে পড়ছেন পথচারীসহ ওই এলাকার মানুষ। পরিবেশ দূষিত হয়ে উঠছে। এ বিষয়ে সাময়িক পদক্ষেপ নেওয়া হলেও সেখানে কয়েক দিন পর পুনরায় আবর্জনার স্তূপ বাড়তে থাকে। সূত্র জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার তালতলী এলাকায়, চান্দিনা উপজেলার পালকি সিনেমা হল এলাকায়, বাস স্টেশন এলাকায়, বুড়িচং উপজেলার নিমসারবাজার এলাকায়, সদর দক্ষিণ উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কাছে, সুয়াগাজী বাজারের সড়কদ্বীপে,  চৌদ্দগ্রাম বাজার এলাকায় ও মিয়া বাজার এলাকার সড়কদ্বীপে আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। মিয়া বাজারের ব্যবসায়ী জাহিদ হোসেন বলেন, যেখানে মানুষ আছে, সেখানে আবর্জনা হবেই। প্রশাসন বাজার ইজারা দিলেও আবর্জনা ফেলার স্থানের ব্যবস্থা করেনি। মানুষ কোথায় ময়লা ফেলবে? সরেজমিন দেখা যায়, চৌদ্দগ্রামের চৌদ্দগ্রাম বাজার, মিয়া বাজার, সদর দক্ষিণের সুয়াগাজী বাজারের আবর্জনার তীব্র দুর্গন্ধে যাতায়াতকারীরা নাক চেপে পথ পার হচ্ছেন। কোথাও রাস্তার পাশে আগুন লাগিয়ে আবর্জনা পুড়িয়ে ফেলার কারণে মরে গেছে শতাধিক গাছ। বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক এস এম মিজান জানান, আমরা মহাসড়কের পাশে আবর্জনা ফেলা বন্ধের বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছি। বিভিন্ন সময় সচেতনতামূলক পথসভা করেছি। কোথাও মহাসড়কের পাশে আবর্জনা ফেলা কমেছে, কোথাও তা অব্যাহত রয়েছে। প্রশাসনকে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান করে দিতে হবে। পৌরসভা ও বাজারের ব্যবসায়ীদের নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলতে হবে। মহাসড়কে আবর্জনার বিষয়ে ব্যবসায়ী, জনগণ ও প্রশাসন সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সদর দক্ষিণ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিস ঘোষ বলেন, সুয়াগাজী বাজারের সড়কদ্বীপে আবর্জনা ফেলা নিয়ে আমরা বিভিন্ন সময়ে ব্যবস্থা নিয়েছি। এবার সড়ক বিভাগের সঙ্গে কথা হয়েছে। যাতে স্থায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আশা করছি তারা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সড়ক ও জনপথ অধিদফতর কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, মহাসড়ক জাতীয় সম্পদ। এর সৌন্দর্য রক্ষায় সবার সচেতন থাকা প্রয়োজন। মহাসড়কের পাশে ময়লা না ফেলতে বাজার কমিটি ও পৌরসভাকে বিভিন্ন সময় চিঠি দেওয়া হয়েছিল। কিছু স্থানে সড়কদ্বীপে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে ভবিষ্যতে আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করব।  আশা করি ডিসেম্বরের মধ্যে মহাসড়ক আবর্জনামুক্ত হবে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর