নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউনিয়নের ছোট ফেনী নদীর ভিতরের অংশ থেকে অবাধে অবৈধভাবে বালু তুলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। একই সঙ্গে অবৈধ বালু বহনকারী ট্রাক্টরে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রামীণ পাকা সড়কগুলো। অবৈধ বালুর গাড়ি আটক করলে উপজেলার রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার কামাল (৪০) কে মারধর করে গাড়ি ছিনিয়ে নেয় বালু তোলার সঙ্গে জড়িতরা। রবিবার বিকাল ৪টার দিকে চৌকিদারের ওপর হামলার প্রতিবাদে উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বামনী বাজার টু বাংলাবাজার সড়ক অবরোধ করে এলাকাবাসী। জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহাবুবুর রহমান বলেন, যারা চৌকিদারকে মারধর করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে বলা হয়েছে। চৌকিদারকে মারার অধিকারকে কারও নেই। বালু তোলা বন্ধে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আলী আজগর জাহাঙ্গীর ও তার ভাই জালাল উদ্দিন ৬টি ড্রেজার মেশিন দিয়ে গত ২ মাস ধরে রাতদিন ছোট ফেনী নদীর ভিতরের অংশ থেকে বালু তুলে নিয়ে যাচ্ছে। ওই দিন অবৈধ বালুবহনকারী ট্রাক্টরে পাকা সড়কের ক্ষতি হওয়ায় রবিবার দুপুরে মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার কামাল আমার নির্দেশে রামপুর ইউনিয়নের বাঞ্ছারাম বাজারে অবৈধ দুটি বালুর ট্রাক্টর আটক করে। কিছুক্ষণ পরে চৌকিদার জানায় বালু তোলার পর জালাল চৌকিদারকে মারধর করে তার থেকে চাবি নিয়ে গাড়ি নিয়ে যায়। খবর পেয়ে আমি আরও ৩টি বালুবাহী ট্রাক্টর আটক করে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে আসি। চেয়ারম্যান রিমন অভিযোগ করে আরও বলেন ফেনী নদীর পাশে থাকা পাকা সড়কে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি হাজার হাজার একর ফসলি জমি ভেঙে নদীতে বিলীন হওয়ার উপক্রম হচ্ছে এবং বালু তোলার ফলে পাকা সড়কে ভাঙন দেখা দেয়। স্থায়ীভাবে এসব অপরিকল্পিত ও অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে মুছাপুর ক্লোজারে যাওয়ার পাকা সড়ক এবং এলাকার বিশাল অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মুছাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আলী আজগর জাহাঙ্গীর বলেন,বালু তোলার বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। বালু তোলার সঙ্গে তিনি জড়িত নয় বলে দাবি করেন। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বলেন, বালু তোলার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। তবে তার ইউনিয়নের মুছাপুর ক্লোজার সংলগ্ন একটি পয়েন্ট থেকে অবৈধভাবে বালু তোলার হয় বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।