শনিবার, ৩০ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

জরাজীর্ণ সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

জরাজীর্ণ সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল

বগুড়ার আদমদীঘিতে রক্তদহ বিলের খালের ওপর নির্মিত বেইলি সেতুটি এখন জরাজীর্ণ। মাদকসেবীরা খুলে নিয়ে যাচ্ছে সেতুর নাট-বল্টু। পাটাতন উঠে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে যানবাহন চলাচল। দীর্ঘ ১৬ বছরে মেরামত না করায় এ সেতুটিতে দিন দিন বাড়ছে মৃত্যুঝুঁকি। ১০ গ্রামের মানুষের চলাচলের সেতুটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। জানা যায়, আদমদীঘি উপজেলার ঐতিহাসিক রক্তদহ বিলের প্রধান খালের ওপর ২০০৬ সালে নির্মাণ করা হয় বেইলি সেতু। এর ফলে বিলপাড়ের কদমা, করজবাড়ী, রামপুরা, ময়ূর কাশিমালাসহ ১০ গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রার চিত্র বদলে যায়। এলাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটার সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদিত কৃষিপণ্য পরিবহন সহজ হয়। সেতুর ফলে বিলপাড়ের ১০ গ্রামের মানুষের যাতায়াতে প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ কমে যায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাব ও সংস্কার না করায় সেতুর পাটাতনগুলো ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। নড়বড়ে অবস্থায় রয়েছে সেতুটি। কিছু নেশাখোর রেলিংয়ের অ্যাংগেল ও নাট-বল্টু চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। এই সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে এখনো রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল চলাচল করছে। শিগগিরই মেরামতের না করলে এটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়বে- এমন আশঙ্কা স্থানীয়দের। তখন মানুষের দুর্ভোগের শেষ থাকবে না। প্রায় ১৫ কিলোমিটার ঘুরে উপজেলা সদরে যেতে হবে ১০ গ্রামের লোকজনকে। করজবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা ও ইউপি সদস্য শহীদুল ইসলাম বলেন, হাট-বাজার, স্কুল-কলেজ, ব্যবসা-বাণিজ্য ও জংশন স্টেশন থাকায় উপজেলার মধ্যে সান্তাহার পৌর শহর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। সেতুটি নির্মাণের আগে সান্তাহার পৌঁছাতে আদমদীঘি হয়ে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পথ ঘুরতে হতো।

 রক্তদহ বিলে বেইলি সেতু নির্মাণের ফলে কমে যায় ১০ কিলোমিটার রাস্তা। সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় ঝুঁকি নিয়েই এর ওপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। যে কোনো সময় পাটাতন ভেঙে প্রাণহানিসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। বেইলির পরিবর্তে ঢালাই সেতু নির্মাণের দাবি জানান তিনি। সান্তাহার ইউপি চেয়ারম্যান এরশাদুল হক টুলু বলেন, এক সময় মানুষ নৌকায় আবার কেউ কেউ সাঁতরে বিল পার হয়ে সান্তাহার আসতেন। সেতু নির্মাণে সান্তাহার শহরের সঙ্গে দুই পাড়ের মানুষের যোগাযোগ সহজ হয়। খুলে আয় ব্যবসা-ব্যাণিজ্যের দ্বার। এখন সেতুর যে অবস্থা তাতে মোটরসাইকেল নিয়ে পার হতেই ভয় লাগে। জনস্বার্থে দ্রুত সংস্কার প্রয়োজন। আদমদীঘি উপজেলা প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান জানান, এই বেইলি সেতু সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের আওতায় রয়েছে। এর দেখভাল বা মেরামতের ব্যবস্থা তারাই করবেন। বগুড়া সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুজ্জামান জানান, জরাজীর্ণ সেতুগুলো পুনর্নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। পাস হলেই দ্রুততার সঙ্গে দরপত্র আহ্বান করে সেতুটি মেরামত করা হবে।

সর্বশেষ খবর