গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চলছে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়াই। শুধু গাইনি ও অ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কর্মরত থাকলেও অন্য নয়টি বিভাগে নেই কোনো বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। এতে এলাকাবাসী অন্যান্য রোগের কাক্সিক্ষত সেবা পাচ্ছেন না। এছাড়া নানা অব্যবস্থাপনায় ভর্তি রোগীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, গোবিন্দগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মেডিসিন, সার্জারি, কার্ডিওলজি, শিশু, চর্ম ও যৌন, চক্ষু, নাক, কান, গলা, অর্থোপেডিক্স, ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবের জুনিয়র কনসালটেন্ট পদ শূন্য দীর্ঘদিন ধরে। এছাড়া ডেন্টাল সার্জন ও ইউনানি মেডিকেল অফিসার পদেও চিকিৎসক নেই। এখানে চিকিৎসকের ৩০ পদের ১৫টি ফাঁকা পড়ে আছে। ৬ লক্ষাধিক জনসংখ্যার এই উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ২০১১ সালে ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হয়। বর্তমানে ১০০ শয্যায় উন্নীত করার জন্য ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। সরেজমিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা যায়, বহির্বিভাগে রোগীর ভিড়। গড়ে প্রতিদিন ৩০৫ জন আউটডোরে আসেন। ৫০ শয্যায় স্থান সংকুলান না হওয়ায় মেঝে ও করিডোরে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে রোগীদের। নতুন ভবন নির্মাণের কাজের জন্য পুরাতন ভবনের বড় অংশ ভাঙা পড়ায় স্থান সংকটে গাদাগাদি করে রাখা হয়েছে রোগী। অপরিচ্ছন পরিবেশ নিয়ে রয়েছে তাদের অভিযোগ। মশারি দেওয়া হয় না কোনো রোগীকে। তাই রাতে মশার উপদ্রব সহ্য করতে হয়ে তাদের। নিয়মিত বালিশ, বিছানার চাদর পরিবর্তন করা হয় না। জানা গেছে, হাসপাতালের তিনটি এক্স-রে মেশিন থাকলেও দুটি বহু আগেই নষ্ট হয়ে গেছে। উপযুক্ত কক্ষের অভাবে চা এক্স-রে মেশিনটি দেওয়া হয়েছে জেলার হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ইসিজি মেশিন প্রায়ই খারাপ থাকে। দুটি এম্বুলেন্সের একটি নষ্ট। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জাফরিন জাহেদ জিতি বলেন, মশারি, বালিশ, চাদর যথেষ্ট পরিমাণে আছে এবং তা রোগীদের সরবরাহ করতে নির্দেশ দেওয়া আছে। জেনারেটরের জন্য বরাদ্দ তেলের যা পরিমাণ তাতে ফ্যান চালানো সম্ভব হয় না।