তফসিল ঘোষণার পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মেহেরপুর জেলা পরিষদে প্রার্থী হওয়ার জানান দিচ্ছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। কেউ নিজে আবার কেউ তার কর্মী সমর্থকদের দিয়ে প্রার্থী হওয়ার খবর জানান দিচ্ছেন নানাভাবে। এদের মধ্যে সবাই ক্ষমতাসীন দলের বর্তমান ও সাবেক পদ পদবিধারী হেভিওয়েট প্রার্থী। তবে জেলায় অন্য কোনো দলের প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না। মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আগ্রহী সাত প্রার্থী নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা।
প্রত্যেকেই লবিং শুরু করেছে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। পিছিয়ে নেই সদস্য পদে নির্বাচনে আগ্রহীরাও। তারাও সমান তালে চালাচ্ছেন প্রচার প্রাচারণা। দলীয় আনুকূল্য পেতে কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্বারস্থ হচ্ছেন। তবে দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা জেলা পরিষদে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেবেন বলে জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে। আগ্রহী সাত প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন বর্তমানে মেহেরপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম রসুল, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদের প্রশাসক অ্যাড. মিয়াজান আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মান্নান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ইব্রাহীম শাহিন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সহসভাপতি মাহবুবুল আলম শান্তি ও কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য শামিম আরা হিরা। মেহেরপুর জেলায় ২০টি ইউনিয়ন, তিনটি উপজেলা ও দুটি পৌরসভা রয়েছে। এবার মোট ভোটার সংখ্যা ২৯৫ জন। একজন ইউপি সদস্যের মৃত্যু হওয়ায় ভোট দেবেন ২৯৪ জন। তবে গতবারের চেয়ে এবার সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্যদের ওয়ার্ডের সংখ্যা অনেক কমেছে। গত বার সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পাঁচজন ও সাধারণ সদস্যের সংখ্যা ছিল ১৫ জন। কিন্তু এবার সে সংখ্যা কমে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য দুজন ও সাধারণ সদস্যের সংখ্যা তিনজনে দাঁড়িয়েছে। এবাই প্রথম মেহেরপুরে জেলা পরিষদের ভোটগ্রহণ হবে ইভিএমএ। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী জেলা পরিষদ নির্বাচনে আগামী ১৭ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ করা হবে। জেলা প্রশাসক এ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন। নির্বাচন উপলক্ষে পুরো জেলায় বিরাজ করছে নেতা-কর্মীদের কর্মচাঞ্চল্য। দলীয় নেতা-কর্মীরা চেয়ে আছেন শেষ পর্যন্ত কার পক্ষে কাজ করবেন।