শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

হাসকিং মিলের দুর্দিন বিপাকে মালিকরা

দিনাজপুর প্রতিনিধি

হাসকিং মিলের দুর্দিন বিপাকে মালিকরা

দিনাজপুরের মেজর-অটোরাইস মিলের প্রযুক্তিগত প্রতিযোগিতায় টিকতে না পাড়ায় হারিয়ে যাচ্ছে শত শত হাসকিং মিল। বন্ধ বিভিন্ন হাসকিং মিলের বিশাল চাতাল, চিমনি, ড্রয়ার পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অটোরাইস মিলের চাল ছাড়া কেউ হাসকিং মিলের চাল খেতে চান না। এ কারণে হাসকিং মিলের মালিকরা পড়েছেন বিপাকে। কিছু কিছু হাসকিং মিল সরকারি বরাদ্দ নিয়ে খুঁড়িয়ে চলছে। তাছাড়া ধান হাসকিং মিলের চাতালে সিদ্ধ ও শুকানো এবং মিলে ভাঙানো পর্যন্ত যে খরচ পড়ে, তাতে লোকসানের সঙ্গে বাড়ে হয়রানি। ফলে দিন দিন বন্ধ হচ্ছে হাসকিং মিল। এতে বেকার হয়ে পড়ছেন শত শত চাতাল শ্রমিক। দিনাজপুরে প্রায় ১৫০০ হাসকিং মিলের মধ্যে বেশিরভাগই এখন বন্ধ। অনেক মিলের লাইসেন্স রক্ষায় চুক্তিবদ্ধ হয়ে সরকারি বরাদ্দ নিয়ে টিকে আছে। মানসম্মত না হওয়ায় হাসকিং মিলের চাল সরকারিভাবে ক্রয়ে সমস্যা হয় জানায় খাদ্য বিভাগ। কয়েকজন মিলার ও শ্রমিকরা জানান, হাসকিং মিলের চালের পুষ্টিগুণ ভালো হলেও ভোক্তারা অটোমিলের চাল ছাড়া খেতে চান না। সরকারি গুদামগুলোও অটোরাইস মিলের চাল ছাড়া নেয় না। মিল বন্ধ থাকলেও সরকারি বরাদ্দ পেয়ে থাকেন কিছু মালিক। অনেক হাসকিং মিল মালিক তাদের বরাদ্দ অটো মিলার বা দালালদের কাছে বিক্রি করে দেন। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ অটো, মেজর, হাসকিং মিল মালিক সমিতির সহসভাপতি সহিদুর রহমান পাটোয়ারী জানান, লাইসেন্স বাঁচিয়ে রাখা এক জিনিস আর ব্যবসা করা আরেক জিনিস। যেটা সারা বছর উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত সেটা আর হাসকিং মিলে নেই। দিনাজপুর চালকল মালিক গ্রুপের সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, হাসকিং মিলের চাল পুষ্টির দিক থেকে মানসম্পন্ন হলেও চালের রংয়ের জন্য ভোক্তার চাহিদা কমে যাচ্ছে। ভোক্তারা চান চকচকে, ঝরঝরে, পলিশসহ দেখতে সুন্দর চাল, যা এই হাসকিং মিলে সম্ভব নয়। ব্যাংকও এ মিলে অর্থঋণ দিতে আগ্রহী নয়। এসব কারণে দিন দিন এসব মিল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।

 

সর্বশেষ খবর