রবিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

মাঠজুড়ে হলুদের সমারোহ

আব্দুর রহমান টুলু, বগুড়া

মাঠজুড়ে হলুদের সমারোহ

বগুড়ায় বিস্তীর্ণ সরিষার মাঠ -বাংলাদেশ প্রতিদিন

দেশে ভোজ্য তেলের দাম বাড়ায় তেলবীজ উৎপাদনে ঝুঁকছেন কৃষকরা। বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলায় সরিষা উৎপাদনে এবার কৃষকরা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছেন তারা। জেলার বিভিন্ন মাঠে এখন হলুদের সমারোহ।  সাধারণত আমন ধান কাটার পরই কৃষকরা জমিতে সরিষার বীজ বপন করেন। সরিষা ফসল ঘরে তুলে তারা আবার জমিতে বোরো আবাদ শুরু করে। জমি থেকে তারা একটি বাড়তি ফলন ঘরে তুলতেই  বেছে নেন সরিষা আবাদ। একই জমিতে বোরো রোপণ করতেও খরচ কমবে কৃষকের। সরিষা চাষে জমির ঊর্বরা শক্তি বৃদ্ধি পায় বলে জানিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা। সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়নের হুয়াকুয়া গ্রামের কৃষক মুসা মিয়া জানান, আমন ধান কাটার পর তিনি ৫০ শতক জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন। কয়েকদিন আগে তার জমিতে সরিষা ফুল ফুটেছে। ফলন খুবই ভালো হয়েছে। তিনি বলেন, বাজারে তেলের দাম বেশি হওয়ায় জমিতে সরিষার চাষ করেছি। সারা বছর খাওয়ার জন্য সরিষা রেখে বাকিগুলো বিক্রি করে দেব। বগুড়া জেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, বছরের কার্তিক থেকে অগ্রহায়ণ মাস পর্যন্ত জমিতে দু-তিনটি চাষ দিয়ে সরিষা বীজ বপন করতে হয়। মাঘ মাস পর্যন্ত সরিষা জমি থেকে ফসল সংগ্রহ করা হয়। দেশি সরিষা ছাড়াও বারি-১৪, ১৫, ১৮, বিনা-৯, ১১, তরি-৭ সম্পদ, শ্বেতী জাতের সরিষা পুরো জেলায় চাষ হয়। গত বছর জেলায় মোট ২৭ হাজার ৬১৭ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছিল। এ বছর সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩১ হাজার ৫০০ হেক্টর। গত ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্জন হয়েছে ২৮ হাজার ৬২০ হেক্টর। যা চলমান রয়েছে। চলতি বছর সরিষার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। সরিষা ঘরে তোলার পরই কৃষকরা জমিতে বোরো রোপণ করবেন। বগুড়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক রাহেলা পারভিন জানান, নিজস্ব উৎপাদিত সরিষার তেল ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপযোগী। এ দিকে লক্ষ্য রেখে কৃষকরা সরিষা চাষে ঝুঁকছেন। কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিচ্ছেছন আমাদের কৃষি কর্মকর্তারা। সরিষা চাষের মধ্যে দিয়ে দেশের তেলের ঘাটতি পূরণ অনেকাংশেই সম্ভব।

সরিষার খৈল গবাদি পশু এবং মাছের উৎকৃষ্ট খাবার।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর