মাদারীপুরে বিয়ের বাজার করতে এসে প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন সাবেক ইউপি সদস্য ও তার ছেলে। গতকাল সকালে সদর উপজেলার মস্তফাপুর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতরা হলেন- মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য জলিল মোল্লা ও তার ছেলে হেলাল মোল্লা। পুলিশ ও ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানায়, গতকাল সকালে সাবেক ইউপি সদস্য জলিল মোল্লা তার ছেলে হেলাল মোল্লা ও মেয়েজামাই জামাল মোল্লাকে সঙ্গে নিয়ে আরেক ছেলে দুলাল মোল্লার বিয়ের বাজার করতে মস্তফাপুর যায়। এ সময় গ্রাম্য দলাদলিকে কেন্দ্র করে পূর্বশত্রুতার জেরে পেয়ারপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান লাভলু তালুকদারের সমর্থকরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় তাদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করে সঙ্গে থাকা বিয়ের বাজারের ৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে তাদের ডাক-চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়।

 জলিল মোল্লার মেয়ের জামাই জামাল মোল্লা বলেন, আমরা বাজার করতে গেলে হঠাৎ করে চেয়ারম্যান লাভলু তালুকদারের লোকজন খোকন হাওলাদারের ছেলে রাসেল হাওলাদার, ইদ্রিস চৌকিদারের ছেলে সাদ্দাম চৌকিদার, সৈয়দ আলী হাওলাদারের ছেলে নাজমুল হাওলাদার, সিরাজ চৌকিদারের ছেলে সাদ্দাম চৌকিদারসহ আরও বেশ কয়েকজন রামদা, ছেন আর চাইনিজ কুড়াল নিয়ে আমার শ্বশুর ও ভাইয়ের ওপর হামলা চালায়। আমরা এই ঘটনায় প্রশাসনের কাছে বিচার চাই। জলিল মোল্লার ভাগ্নে আলিম বেপারী বলেন, আমার মামাকে আর মামাতো ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়েছে। তাদের ওপর যারা এভাবে হামলা চালিয়েছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। অভিযোগের বিষয়ে অস্বীকার করে পেয়ারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাভলু তালুকদার বলেন, আমার বিষয়ে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আমার জানা মতে আমার কোনো সমর্থক তাদের ওপর হামলা চালায়নি। মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. শাওলীন আফরোজ বলেন, দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় এখানে নিয়ে আসা হয়েছিল। পরে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, শুনেছি পেয়ারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাভলু তালুকদারের লোকজন সাবেক ইউপি সদস্য জলিল মোল্লার ওপর হামলা চালিয়েছে। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।