নেত্রকোনা শহরের মগড়া নদীর পাড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের শহররক্ষা ধসে যাওয়া বাঁধ নির্মাণে নেই দ্রুত উদ্যোগ। ফলে সাতপাই কালিবাড়ি পুরো সড়ক চলে যাচ্ছে মগড়া নদীগর্ভে। ঝুঁকিতে পড়েছে পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ফুটপাত সড়কসহ সাতপাইবাসী। সড়কে চলাচলকারী সব যানবাহনও চলছে ঝুঁকি নিয়ে। এলাকাবাসীর দাবি, বর্ষার আগেই ব্লক দিয়ে স্থায়ীভাবে দ্রুত মেরামতের। জানা গেছে, ২০২২ সালে দফায় দফায় বন্যার ফলে অল্প অল্প করে ভেঙে পড়ে নেত্রকোনা শহরের সাতপাই শহর রক্ষা বাঁধ এবং পৌরশহরের ফুটপাত। পরে পৌরসভার দায়িত্বে বাঁশ এবং বালুর বস্তা দিয়ে মেরামত করে রাখা হয় কিছুদিন। এরপর ভাঙনের তীব্রতায় তিন দিনে প্রায় ১০০ মিটার বাঁধাই করা ব্লক ধসে নদীতে চলে গেছে। এতে সড়কের পাশে তৈরি করা ফুটপাতের পিলারও ভেঙে পড়েছে। ঝুঁকিতে পড়েছে সাতপাই এলাকার বাসিন্দাসহ পথচারী ও যান চলাচল। খবর পেয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ এলাকা পরিদর্শন করে বাঁশ দিয়ে টানা দিয়ে রেলিং বাঁচাতে চেষ্টা করে। দ্রুত পানি উন্নয়ন বোর্ড জিওব্যাগ ফেলে ধস ফেরানোর চেষ্টা করে। এরপর থেকে ধীরে ধীরে দেবে যাচ্ছে। এদিকে পুনরায় বর্ষা চলে আসলে পুরো এলাকা নদীগর্ভে চলে যাবার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় এবং পথচারীরা। স্থানীয়রা বলছেন, এ গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দিয়ে আন্তজেলা বাস টার্মিনাল থেকে বহু মানুষ বারহাট্টা মোহনগঞ্জ ও কলমাকান্দাসহ বিভিন্ন এলাকায় চলাচল করেন। দ্রুত বাঁধের ব্লক দিয়ে স্থায় মেরামত করে সড়কটি অক্ষত রাখার দাবি জানান তারা। পৌরসভার প্যানেল মেয়র এস এম মহসীন আলম জানান, ১৯৭৮ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের তৈরি করা শহর রক্ষা বাঁধের দীর্ঘ এত বছরেও আর কোনো রক্ষণাবেক্ষণ না করায় ব্লকগুলো মাটিতে পরিণত হয়ে ধসে গেছে। এখন জেলা প্রশাসনসহ আমরা চেষ্টা করছি বাঁধ রক্ষার। কিন্তু যে বরাদ্দ এসেছে তা দিয়ে কিছুই হবে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারোয়ার জাহান জানান, ভাঙন ফেরাতে দ্রুত ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে মেরামত করে সড়টি টিকিয়ে রাখা হয়েছে।