মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

তিন যুগ পর চালু অপারেশন থিয়েটার

শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

বগুড়ার শেরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিন যুগ পর চালু হলো অপারেশন থিয়েটার। গতকাল সকালে শহরের গোসাইপাড়ার প্রসূতি স্বর্ণা শর্মার সিজারিয়ানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অপারেশন চালু হয়। কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বগুড়া-৫ (শেরপুর-ধুনট) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবর রহমান। দীর্ঘদিন পর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন থিয়েটার চালু হওয়ায় স্বস্তি ফিরে এসেছে রোগীদের মধ্যে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, সরকারি এ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার ৩৬ বছর পর অপারেশন থিয়েটার চালু হলো। এখন থেকে এ উপজেলাসহ আশপাশের প্রসূতি মায়েরা এখানে বিনামূল্যে সেবা পাবেন।

দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে চান। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা সবসময় মানুষের কল্যাণের কথা ভাবেন। বিশেষ করে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দিতে কাজ করে যাচ্ছেন। এরই ধারাবাহিকতায় শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অত্যাধুনিক অপারেশন থিয়েটার চালু করা হলো। যাতে করে এ অঞ্চলের হাজার হাজার প্রসূতি মা-সহ অন্য জটিল রোগীরা অপারেশন সুবিধা পাবেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অপারেশন থিয়েটারে প্রথম অপারেশন হওয়া স্বর্ণা শর্মার স্বামী আনন্দ শর্মা জানান, আমার স্ত্রীর একটু সমস্যার কারণে স্বাভাবিকভাবে সন্তান না হওয়ায় চিকিৎসকরা অপারেশনের সিদ্ধান্ত দেন। এ জন্য বেসরকারি একাধিক ক্লিনিকে গিয়েছিলাম। তারা যে খরচের কথা বলেছেন তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। কারণ আমি একজন দিনমজুর। আমার পক্ষে তা সংগ্রহ করা একটু কঠিন হয়ে পড়েছিল। এরই মধ্যে প্রতিবেশীরা আমার স্ত্রীকে শেরপুর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। তাই এখানে আনার এক দিন পরই বিনামূল্যে সিজারিয়ান করা হয়েছে। কোনো প্রকার টাকা খরচ হয়নি। মা ও বাচ্চা দুজনই ভালো আছে। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন চালু না হলে ধার-দেনা করে বেসরকারি ক্লিনিক বা হাসপাতালে অপারেশন করা লাগত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, দীর্ঘ তিন যুগ পর সরকারি এ হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটার চালু হলো। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন চালু হওয়ায় এ উপজেলাসহ আশপাশের উপজেলার প্রসূতি মায়েরা এখান থেকে বিনামূল্যে  সেবা পাবেন। এখানে নরমাল ডেলিভারি করানো হয়। যদি কোনো গর্ভবতীর সন্তান প্রসবে সমস্যা দেখা দেয় তাহলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই সিজারের ব্যবস্থা রয়েছে। তাই সব প্রসূতি মায়েদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেলিভারি করানোর জন্য আহ্বান জানান। এতে মা ও শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা হবে।

 

সর্বশেষ খবর