বুধবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

মাঝ নদীতে নিঃসঙ্গ সেতু

রিয়াজুল ইসলাম, দিনাজপুর

মাঝ নদীতে নিঃসঙ্গ সেতু

দিনাজপুরের খানসামায় বেলান নদীর ওপর নির্মিত সেতু -বাংলাদেশ প্রতিদিন

দিনাজপুরের বেলান নদীর মাঝখানে নিঃসঙ্গ দাঁড়িয়ে আছে সেতু। নির্মাণের প্রায় আট বছর পার হলেও সংযোগ সড়ক না হওয়ায় আজও সেতুটি ব্যবহার করতে পারেনি সাধারণ মানুষ।

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিমে গোয়ালডিহি গ্রামের বালাবাড়ির ডাঙ্গায় সেতুটির অবস্থান। বেলান নদীতে বর্ষায় টইটুম্বুর থাকলেও শুকনা মৌসুমে পানি থাকে না। তখন ধানসহ বিভিন্ন ফসল চাষ হয় নদীর বুকে। সারা বছর পানি ধরে রাখতে গত মাসে নদীটি খনন শুরু হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার কারণেই আজও সেতুর সংযোগ সড়কে মাটি ভরাট করা হচ্ছে না। দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার পথ ঘুরে এলাকার মানুষ বিকল্প পথে চলাচল করেন। জানা যায়, এলজিএসপি-২-এর আওতায় ২০১৩-১৪ এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রায় ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করা হয়। জনস্বার্থে নির্মাণ হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় অব্যবহৃতই পড়ে আছে সেতুটি। এলাকার লোকজনের হাঁটা পথের ওপর ব্যবহার অনুপযোগী সেতুটি পড়ে থাকায় মানুষ হারিয়ে ফেলেছেন তাদের দীর্ঘদিনের চলাচলের পথটিও। এ সেতুর পশ্চিম দিকে আধা কিলোমিটার দূরে এক সময় একটি বাঁশের সাঁকো ছিল। সাঁকোর ওপর দিয়েই এলাকার মানুষ চলাচল করতেন। পরে নির্মাণ করা হয় সেতুটি। পশ্চিম হাসিমপুর গ্রামের মো. ফজর আলী বলেন, সেতুটির সংযোগ সড়কে মাটি ভরাট না করায় এ পথে চলাচল করতে পারছি না। তারা প্রায় দুই থেকে আড়াই কিলোমিটার পথ ঘুরে প্রয়োজনীয় কাজে বিভিন্ন দিকে চলাচল করেন। শত শত মানুষকে বিকল্প পথে চলাচল করতে হচ্ছে। সেতুর সংযোগ সড়ক তৈরি হলে মানুষের কষ্ট লাঘব হবে। উত্তমপাড়া গ্রামের দ্বিজেন্দ্র নাথ রায় ও পশ্চিম হাসিমপুর গ্রামের মিন্টু ইসলাম বলেন, আমরা নদীর ওপারে কৃষি জমির ফসল অনেক কষ্ট করে নিয়ে আসি। সেতু হলেও সড়ক না থাকায় আমাদের কষ্ট আরও বেড়েছে। সরকার সেতুটির দুই পাশে সংযোগ রাস্তা করে দিলে আমাদের অনেক উপকার হতো।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর