শিরোনাম
রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

চিকিৎসা সরঞ্জাম-লোকবল সংকটে ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

জাকারিয়া চৌধুরী, হবিগঞ্জ

চিকিৎসা সরঞ্জাম-লোকবল সংকটে ব্যাহত স্বাস্থ্যসেবা

হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম এবং লোকবল নেই। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্যসেবা। সাধারণ কোনো পরীক্ষার জন্য রোগীসহ স্বজনদের যেতে হয় সিলেট ওসমানী মেডিকেল অথবা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অর্থ সংকটে অনেকে এত দূরের হাসপাতালে যেতে পারছেন না। ফলে দুর্ভোগের পাশাপাশি জেলার সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে ক্ষোভ। জানা যায়, ১০০ শয্যার হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালটি কয়েক বছর আগে ২৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ করা হয়। এ হাসপাতালে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৩০০ রোগী প্রাথমিক সেবা নেন। প্রয়োজনীয় জনবল এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার যন্ত্রপাতি না থাকায় সেবাবঞ্চিত হচ্ছে গ্রামগঞ্জ থেকে আসা রোগীরা। এ ছাড়া দালালসহ ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দৌরাত্ম্য হাসপাতালটিতে বেড়েই চলেছে। দালালের ফাঁদে অনেকে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন। জেলা সদর হাসপাতালের মতো একই অবস্থা চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। ২০১৬ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ৫০ শয্যার কার্যক্রম শুরু হয় এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ৫০ শয্যার কার্যক্রম শুরু হলেও মূলত চলছে ৩১ শয্যার জনবল দিয়ে। এ ছাড়া কনসালট্যান্ট (সার্জারি), কনসালট্যান্ট (গাইনি) ও অ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অভাবে অপারেশন থিয়েটার চালু করা যাচ্ছে না। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় নষ্ট হচ্ছে মূল্যবান যন্ত্রপাতি। মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ল্যাব) পদেও নেই জনবল। যে কারণে এখানে হচ্ছে না পরীক্ষা-নিরীক্ষা। বাধ্য হয়ে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা প্রাইভেট ক্লিনিকে যেতে হচ্ছে সাধারণ রোগীদের। একই অবস্থা হবিগঞ্জ সদর, বানিয়াচং, লাখাই, আজমিরীগঞ্জ, নবীগঞ্জ, বাহুবল ও মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। এসব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক যুগ ধরে নেই রোগ নির্ণয়ের প্রাথমিক যন্ত্র এক্স-রে মেশিন। নেই আলট্রাসনোগ্রাম, প্যাথলজিক্যাল যন্ত্রপাতিও। যেগুলোতে যন্ত্রপাতি রয়েছে সেখানে নেই লোকবল। দরিদ্র অসহায় মানুষ পাচ্ছেন না সরকারি চিকিৎসাসেবা। নবগঠিত শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় এখনো গড়ে ওঠেনি নিজস্ব কমপ্লেক্স। এ বিষয়ে বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শামীমা আক্তার বলেন, এখানে এক্স-রে মেশিন থাকলেও তা বিকল পড়ে রয়েছে। কয়েকবার উদ্যোগ নিয়েও এক্স-রে মেশিনটি মেরামত করা সম্ভব হয়নি। তারপরও তিনি প্রতি মাসে এক্স-রে মেশিনের জন্য চাহিদাপত্র পাঠাচ্ছেন। হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নূরুল হক বলেন, সংকটের মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছি। বিষয়গুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। ইতোমধ্যেই কিছু সমস্যার সমাধান হয়েছে। আশা করছি বাকি সমস্যাগুলোর দ্রুত সামাধান হবে।

সর্বশেষ খবর