রাঙামাটিতে ৯৯৯ এ কল করে রক্ষা পেল ১৭৫ শিক্ষার্থীর জীবন। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাঙামাটি কাপ্তাই হ্রদের শুভলং ইউনিয়নের ইয়ারিং ছড়া এলাকায় এসব শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে পুলিশ। চট্টগ্রাম কলেজের ইতিহাস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. আবু তাহের ভূঁইয়া জানান, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের ১৭৫ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী শিক্ষা সফরে জন্য রাঙামাটি আসে। পরে শহরের উন্নয়ন বোর্ডের ঘাট থেকে একটি লঞ্চ ভাড়া করে তারা প্রথমে শুভলং ইউনিয়নের প্যাদা টিং টিং রেস্টুরেন্ট যায়। পরে সেখান থেকে শুভলং ঝর্ণার উদ্দেশ্যে রওনা দিলে তাদের লঞ্চটির পাটাতন কাপ্তাই হ্রদে ভেসে উঠা ডুবোচরে আটকে যায়। চালক, শ্রমিক ও শিক্ষার্থীরা চেষ্টা করেও লঞ্চটি চর থেকে বের করতে পারেনি। পরে সাহায্যের জন্য শিক্ষার্থী সরকারি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে তাদের বিষয়টি জানালে। দ্রুত ঘটনা স্থলে পৌঁছায় নৌ-পুলিশের বিশেষ দল। পরে লঞ্চসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করে রাঙামাটি শহরের উন্নয়ন বোর্ডের লঞ্চঘাটে নিয়ে আসে। চট্টগ্রাম কলেজের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রুবেল জানায়, লঞ্চ যখন ডুবোচরে আটকে যায়।
সবাই খুবই ভয়ের মধ্যে ছিল। কারণ আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী সাঁতার জানে না। এদিকে রাতও গভীর হচ্ছিল। অচেনা পরিবেশে সবাই কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছিল। তবে পুলিশ সবাইকে নিরাপদে উদ্ধার করার পর আমরা স্বস্তির নিঃশ্বাস নিচ্ছি। রাঙামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, জন সাধারণকে সেবা দিকে পুলিশ সব সময় প্রস্তুত। বিশেষ করে রাঙামাটিতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের জন্য আমরা সজাগ। ৯৯৯ এ কল পাওয়ার পর আমাদের নৌ পুলিশের দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাত্রীসহ লঞ্চ ফিরিয়ে নিয়ে এসেছে। ওরা কিছুটা ভয়ে থাকলেও এখন সবার মুখে স্বস্তির হাসি। সবাইকে তাদের নিজ নিজ ঠিকানায় চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে।
