শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

তিস্তার চরে নিরক্ষরতা দূর করার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

তিস্তার চরে নিরক্ষরতা দূর করার ব্যতিক্রমী উদ্যোগ

বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা লালমনিরহাট। তিস্তার করাল গ্রাসে সংকুচিত এ জেলার মানুষের জীবন ও জীবিকা অনেকটাই কৃষিনির্ভর। তিস্তা, ধরলা ও সানিয়াযান নদীবেষ্টিত এ জেলার দুই শতাধিক চরে এখনো ৭০ শতাংশ মানুষ নিরক্ষর। চর এলাকার নিরক্ষরতা দূরীকরণে এবার আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীরা নিয়েছেন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ। শুধু সাক্ষরতাই নয়, প্রাথমিক শিক্ষা তথা অক্ষরজ্ঞান প্রদান, ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষামুখী করাসহ নানা পরিকল্পনা নিয়েছেন তারা। উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নে প্রাথমিক শিক্ষা দিতে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন তারা। ভাঙাচোড়া পথ পাড়ি দিয়ে, রোদ মাথায় নিয়ে দল বেঁধে প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে কথা ও খোশগল্পের মাধ্যমে অক্ষরজ্ঞান শেখানো হচ্ছে। এ শিক্ষার্থীরা আহ্বান জানিয়েছেন, নদীর উপকূলে যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে সেগুলোর শিক্ষার্থীরা যেন লেখাপড়ার পাশাপাশি চরের মানুষের নিরক্ষরতা দূর করার কাজে এগিয়ে আসেন। জানা যায়, মহিষখোচা ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ডের মধ্যে সাতটির অধিকাংশ ইতোমধ্যে নদীতে বিলীন হয়েছে। এসব এলাকার বাসিন্দারা নদীতীর কিংবা অন্যত্র স্থান নিয়েছে- যাদের বেশির ভাগ দরিদ্র শ্রেণির কিংবা খেটে খাওয়া মানুষ। এদের অনেকেই স্বাক্ষর জানেন না। জরুরি কাজে টিপসই একমাত্র ভরসা। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে টিপসই তুলে দেওয়া হলে জমি দলিল থেকে শুরু করে যেকোনো কাজই করতে ভোগান্তিতে পড়তে হবে এসব লোকের। সেই চিন্তা থেকে ইউনিয়নটিতে সাক্ষরতা শেখানো কার্যক্রম শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটির ছাত্রছাত্রীরা। নবম শ্রেণির নুশরাত জাহান মেঘা, ফাতেমাতুজ জোহরা বলেন, আমরা শুধু নিজেরা শিক্ষিত হলে হবে না। পুরো জাতিকে সচেতন হতে হবে। তাই আমরাও শিক্ষা অর্জন করছি, অন্যকেও শেখানোর চেষ্টা করছি।

নাজমুন নাহার, ইভা ও রাব্বি বলেন, মানসিক প্রশান্তির জায়গা থেকে আমাদের মনে হয়েছে সমাজের জন্য কিছু করতে হবে। স্যারদের সঙ্গে কথা বলে আমরা সেই চেষ্টাই করছি। এতে সবার সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণা পাচ্ছি।

সর্বশেষ খবর