শনিবার, ১১ মার্চ, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গার চিৎলা ইউপি চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান সরোয়ারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা করেছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল বাতেন। বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক বরাবরও পাঠিয়েছেন মামলার বাদী। ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টিকে তার ‘প্রতিপক্ষের ষড়যন্ত্র’ বলে আখ্যায়িত করেছেন।

মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান ছাড়াও সচিব মুছাব আলী, ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আয়নাল হক ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নিজাম উদ্দিনকে আসামি করা হয়েছে। জানা যায়, চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান সরোয়ার তার সহযোগীদের সহায়তায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল তৈরি না করে বরাদ্দের দেড় লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। একই অর্থবছরে ইউনিয়ন উন্নয়ন খাতে সাধারণ বরাদ্দকৃত ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৮০০ টাকা, টিআর কর্মসূচির দুটি প্রকল্পের ৩ লাখ ৯ হাজার ৮০০ টাকা, কাবিখা প্রকল্পের ১ হাজার ২০০ মেট্রিক টন চাল, কাবিটা প্রকল্পের ৮৯ হাজার ৩৭ টাকা, তিনটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাইকেল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।

১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, সাতটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফাইল কেবিনেট ও দুটি কমিউনিটি ক্লিনিকে চেয়ার-টেবিল বাবদ ২ লাখ ৬ হাজার ৮০০ টাকা, হাপানিয়া গ্রামে রাস্তায় ফ্ল্যাট সোলিং বাবদ ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা, চিৎলা গ্রামে রাস্তায় ফ্ল্যাট সোলিং বাবদ ১ লাখ ১৯ হাজার টাকার কাজে অনিয়ম করেছেন। এসব কাজ যথাযথভাবে না করে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। এ ছাড়াও পরিষদের ট্যাক্স আদায়ের ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকার কোনো হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে ইউনিয়ন পরিষদে আসা ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্পে দৈনিক ৯৬ শ্রমিকের পরিবর্তে মাত্র ৮-১০ দিন দৈনিক ১০-১২ জন শ্রমিকের কাজ করিয়ে বাকি টাকা নামে-বেনামে আত্মসাৎ করা হয়েছে। একইভাবে ২০২২-২৩ অর্থবছরেও বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করে চলেছেন চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান সরোয়ার ও তার সহযোগীরা। মামলার বাদী মো. আবদুল বাতেন বলেন, উচ্চ আদালতের আদেশে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ করে চুয়াডাঙ্গার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে মামলা করা হয়। পরে বিজ্ঞ আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন এবং অভিযোগ তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশনে নালিশি দরখাস্তের অনুলিপি প্রেরণ করেছেন। এ বিষয়ে চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসানুজ্জামান সরোয়ার বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের সব কার্যক্রম সরকারি নিয়ম মেনেই করা হচ্ছে। মামলার বাদী নির্বাচনের মাঠে আমার প্রতিপক্ষ ছিলেন। নির্বাচনে পরাজয়ের পর প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে তিনি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন।’

সর্বশেষ খবর