পরিবেশের উন্নয়নে বাতাসে ক্ষতিকারক ধূলিকণা কমাতে নাটোর শহরের মাদরাসা মোড় থেকে উত্তরাগণ ভবন পর্যন্ত ফোর লেন বিভাজক সড়ক দ্বীপে সবুজায়ন অভিযান শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহরের সড়ক বিভাজকের ওপরে লাগানো হচ্ছে সৌন্দর্যবর্ধক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ এবং নানা রঙের ফুলের গাছ। সড়ক দ্বীপে সবুজায়নের ফলে ঐতিহ্যবাহী উত্তরাগণ ভবন ও রাজবাড়ীসহ পর্যটন এলাকায় ঘুরতে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকসহ সবারই নজর কাড়বে, শহরের সৌন্দর্য মুগ্ধ করবে সবাইকে। নাটোরের জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ রোভার স্কাউট নাটোর জেলা শাখার বাস্তবায়নে শহরের প্রধান সড়ক বিভাজক, সড়ক দ্বীপে এবং ফুটপাতে লাগানো হচ্ছে সৌন্দর্যবর্ধক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। পরিচ্ছন্ন, সুন্দর, দৃষ্টিনন্দন, উন্নত ও বাসযোগ্য শহরের জন্যই এ আয়োজন। গতকাল সকালে শহরকে সবুজায়ন এবং সৌন্দর্যবর্ধক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাদিম সারওয়ার, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান সরকার, বাংলাদেশ রোভার স্কাউট রাজশাহী অঞ্চলের সহযোজিত সদস্য দিঘাপতিয়া এম কে অনার্স কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ আবদুর রাজ্জাক, সফল কৃষি উদ্যোক্তা সেলিম রেজাসহ রোভার স্কাউট সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীরা। সৌন্দর্যবর্ধক গাছগুলো হচ্ছে চন্দ্রপ্রভা, সোনাপাতি, পলাশ, রঙ্গন, কাঠ করবি, চেরি, অ্যালামুন্ডা, জারল, সোনালু, বকুল, কৃষ্ণচূড়া, মহুয়া, হৈমন্তী, রাধাচূড়া, কাঞ্চন ইত্যাদি। এর ফলে বাতাসে ভাসমান মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক ক্ষুদ্র ধূলিকণা মুক্ত হওয়ার পাশাপাশি পুরো শহর সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে। জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ জানান, নাটোর-বগুড়া মহাসড়ক প্রশস্ত করা হচ্ছে। এ প্রশস্ত সড়ক দ্বীপে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবুজায়নের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এক ইঞ্চি জায়গায় ফাঁকা রাখা যাবে না। তা সফল বাস্তবায়নে জেলা প্রশাসন নাটোর কাজ করছে। আমি মনে করি, আমাদের এ উদ্যোগ দেখে সাধারণ মানুষসহ অন্যান্য সংগঠন উৎসাহিত হবে। নাটোর জেলা এক সময় সবুজের সমারহে ভরে যাবে। পরিবেশ সুরক্ষা ও জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত প্রভাব ঠেকাতে শহরের রাস্তা ও ফুটপাত সবুজ গাছে ঢেকে দিতে এ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এ উদ্যোগের মাধ্যমে সবুজ ও ফুলে ফুলে নবরূপ পাবে নাটোর শহর।
