সোমবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

মধু আহরণে দলবেঁধে সুন্দরবনে মৌয়ালরা

শেখ আহসানুল করি, বাগেরহাট

মধু আহরণে দলবেঁধে সুন্দরবনে মৌয়ালরা

সুন্দরবনে শুরু হয়েছে মধু আহরণ মৌসুম। গতকাল থেকে শুরু হওয়া এ মধু আহরণ মৌসুম চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। মৌসুমের শুরুতে প্রথম দুই দিনে (২ এপ্রিল) বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জ থেকে পাস-পারমিট নিয়ে ৫২টি নৌকায় করে দল বেঁধে ৪০০ জন মধু আহরণকারী মৌয়াল ম্যানগ্রোভ এই বনে প্রবেশ করেছেন। অন্য মৌয়ালরা এখন সুন্দরবনে যেতে নৌকা মেরামত ও প্রয়োজনীয় উপকরণ গোছাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চলতি আহরণ মৌসুমে মধু সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে সুন্দরবন বিভাগ। সুন্দরবন বিভাগ ও মৌয়ালরা বলছে, এপ্রিলের শুরুতেই সুন্দরবনে গড়াইন ও খলিশা গাছের ফুলের মধু সংগ্রহের উপযুক্ত সময়। গড়াইন ও খলিশা ফুলের মধু ছাড়াও জুন পর্যন্ত ৩ মাস ধরে বিশ্ব ঐতিহ্য এলাকা (ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড) সুন্দরবনের বিভিন্ন গাছের ফুলের মধু মৌচাক থেকে পর্যায়ক্রমে সংগ্রহ করবেন মৌয়ালরা। এ সময়ে মহাজনদের কাছ থেকে আগাম টাকা (দাদন) নিয়ে সুন্দরবনে মধু আহরণ করতে যান মৌয়ালরা। এক-একটি নৌকার মৌয়ালরা বন বিভাগ থেকে নির্ধারিত রাজস্ব পরিশোধ করে ৪৫ দিনের পাস পারমিট নিয়ে সুন্দরবনে অবস্থান করবেন। এ সময়ে গাছে ঝুলে থাকা মৌচাক থেকে মৌয়ালরা সংগ্রহ করবেন কাক্সিক্ষত মধু। মৌয়ালরা জানান, তারা বড় এক-একটি মৌচাক থেকে ১৫-২০ কেজির অধিক মধু পেয়ে থাকেন। শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জান জানান, চলতি মৌসুমে শরণখোলা রেঞ্জ থেকে তিন মাসে মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০০ কুইন্টাল ও মোম ১৫০ কুইন্টাল। সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গতকাল থেকে মধু আহরণের জন্য রেঞ্জের অফিসগুলো পাস-পারমিট দেওয়া শুরু হয়েছে। গতকাল বিকাল পর্যন্ত এ রেঞ্জ থেকে নির্ধারিত রাজস্ব দিয়ে পাস-পারমিট নিয়ে ৩১টি নৌকায় করে ২৪৭ জন মৌয়াল সুন্দরবনে গেছেন। বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন পূর্ব বিভাগে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মোহম্মদ বেলায়েত হোসেন সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

সর্বশেষ খবর