সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

হিলিতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবি

হিলি প্রতিনিধি

দিনাজপুরের হিলিতে ইফতার, সাহরি ও তারাবির সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এদিকে জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে লোডশেডিং কমাতে যথাযথ চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস। গতকাল দুপুরে হাকিমপুর (হিলি) পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন          চলন্তের নেতৃত্বে পৌরসভার সব ওয়ার্ড কাউন্সিলর দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর হিলি সাবজোনাল অফিসে গিয়ে এজিএম বিশ্বজিৎ সরকারের কাছে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের এ দাবি জানান। হাকিমপুর (হিলি) পৌরসভার মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত জানান, কিছুদিন ধরেই লক্ষ্য করছি ঠিক            আমরা যখন নামাজে যাচ্ছি বিশেষ করে তারাবির নামাজের সময় বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। একইভাবে মানুষ যখন ইফতার ও সাহরির প্রস্তুতি নেয় ঠিক তখনই বিদ্যুৎ চলে যায়।  বিষয়টি ঘিরে সাধারণ জনগণের মধ্যে উত্তেজনা কাজ করছে। তারা বিষয়টি বিদ্যুৎ অফিসকে অবহিত করার কথা আমাদের জানিয়েছেন। হিলি দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্থলবন্দর।

 এখানে পল্লী বিদ্যুৎ যখন প্রবেশ করে তখন তারা এর জন্য আলাদা বরাদ্দের কথা জানিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এই ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। সে কারণেই আজকে আমাদের পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে আসা। আমরা চাচ্ছি পল্লী বিদ্যুৎ আমাদের হিলির জন্য আলাদা কোনো বরাদ্দ এনে যদি লোডশেডিং হয় সেটি যেন প্রতিহত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। আমাদের এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এজিএম সাহেব তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহিত কথা বলার কথা জানিয়েছেন। তার এই কথায় আমরা আশ্বস্ত হয়েছি উনি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সহিত কথা বলুক। এরপরেও যদি না হয় জনগণের এই দুর্ভোগ লাঘোবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। দিনাজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর হিলি সাবজোনাল অফিসের এজিএম বিশ্বজিৎ সরকার বলেন, আমাদের হিলিতে যে পরিমাণ বিদ্যুতের চাহিদা কর্তৃপক্ষের কাছে সেই মোতাবেক বিদ্যুতের বরাদ্দ না পাওয়ায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে। তবে আমরা যতটা কমানো যায় সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। সেই সঙ্গে পৌরমেয়রের দাবির বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

সর্বশেষ খবর