মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৩ ০০:০০ টা

দর্জিপাড়ায় নেই ঈদ ব্যস্ততা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বগুড়া

দর্জিপাড়ায় নেই ঈদ ব্যস্ততা

পোশাক তৈরির মজুরি বেড়ে যাওয়ায় বগুড়ায় দর্জিপাড়া থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন গ্রাহক। কয়েক বছর ধরে ঈদুল ফিতরে দর্জিপাড়ায় দম ফেলার সময় না থাকলেও এবার তেমন ব্যস্ততা নেই। স্বাভাবিক সময়ের মতোই কাজ করছেন শ্রমিকরা। বগুড়া শহরের বিভিন্ন কারখানায় খোঁজ নিয়ে যানা যায়, ঈদ ঘনিয়ে এলেও কারিগররা নতুন পোশাক তৈরি করছেন স্বল্প পরিসরে। গত বছরের তুলনায় এবার পোশাক বানাতে দর্জিপাড়ায় ভিড় করছেন খুব কম সংখ্যক মানুষ। প্রতি বছর এই সময়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কারখানাগুলোতে ব্যস্ততা থাকলেও এ বছর চিত্র আলাদা। সব বয়সের মানুষ গার্মেন্টেসের তৈরি পোশাক কিনতে বেশি আগ্রহী। কাপড়ের দাম এবং মজুরি দ্বিগুণ হওয়ায় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষ টেইলার্সে পোশাক তৈরি করার আগ্রহ হারিয়েছেন। তারা ঝুঁকছেন তৈরি পোশাকে। বগুড়া শহরে পুরুষদের পোশাক তৈরির জন্য শতাধিক দর্জির দোকান রয়েছে। এ ছাড়া শহরের বাইরে প্রায় সব এলাকায় ও বিভিন্ন বাড়িতে রয়েছে দর্জিদোকান। নারীদের পোশাক তৈরির জন্য রয়েছে আরও অর্ধশতাধিক ছোটবড় টেইলার্স। এ পেশার সঙ্গে জড়িত প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার শ্রমিক। পোশাক তৈরির কারিগররা বলছেন, ঈদুল ফিতর সামনে রেখে বগুড়ার দর্জিপাড়ার আগের মতো নেই আর কর্মব্যস্ততা। তৈরিকৃত (রেডিমেট) পোশাকের ওপর মানুষ বেশি ঝুঁকছেন বলে কাজের চাপ অনেক কম। বগুড়া শহরের একাধিক টেইলার্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অন্য বছরের তুলনায় এবার কাজের চাপ অনেক কম। সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ আগের মতো পোশাক তৈরি করছেন না। এবার শহরের নামিদামি প্রতিষ্ঠানগুলোয় অর্ডার এসেছে কম। শহরের মন্ডল মার্কেটের কারখানার কারিগর শাহেদ জানান, প্রায় ২০ বছর ধরে তিনি এ পেশায় কাজ করে আসছেন। কিন্তু অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার কাজের চাপ একেবারেই কম। ঈদ ঘনিয়ে এলেও কাজ চলছে ঢিলেঢালা। এই কারখানায় প্রায় ৩০-৪০ জন কারিগর কাজ করে। কাজের চাপ কম হওয়ায় এবার অনেকে অলস সময় কাটাচ্ছেন।

সর্বশেষ খবর