সারা দেশে সরকারিভাবে একযোগে বোরো ধান ও চাল কেনার কর্মসূচি শুরু হলেও ফেনীর সোনাগাজী উপজেলায় এখনো ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন হয়নি। স্থানীয়রা কৃষকরা এ জন্য খাদ্য বিভাগকে দায়ী করে বলছেন তাদের গাফিলাতির কারণে কৃষক খাদ্যগুদামে ধান বিক্রি করতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে তারা কম টাকায় বাজারে কম দামে ধান বিক্রি করছেন। খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঞ্জুর আহমেদ বলেন, কৃষি বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত কৃষক তালিকা অনুযায়ী উপজেলা সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ শুরু হবে। এখনো কৃষি অফিস থেকে কৃষক তালিকা দেওয়া হয়নি। এ জন্য ধান সংগ্রহে দেরি হচ্ছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শফিউদ্দিন আহমেদ জানান, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে এখনো কৃষক তালিকা পাইনি। এ জন্য ধান সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করতে দেরি হচ্ছে। কৃষক তালিকা পেলে ইউএনও মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলে ধান সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করব। উপজেলা কৃষি অফিসার মাইন উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ উপজেলায় ৯৯ ভাগ কৃষক তাদের বোরো ধান জমি থেকে কেটে ঘরে তুলে পেরেছেন। সারা দেশে বোরো ধান সংগ্রহ শুরু হয়েছে সপ্তমে আর আমরা কৃষক তালিকা তৈরি করার জন্য খাদ্য বিভাগ থেকে চিঠি পেয়েছি সপ্তমে। চিঠি পেয়ে অষ্টমে উপ-সহকারী কৃষি অফিসারদের নিয়ে জরুরি সভা করে মাঠে গিয়ে বোরো ধান বিক্রি করার জন্য কৃষক তালিকা প্রস্তুত করতে বলি। কৃষকের তালিকা তৈরি করতে ৮-১০ দিন সময় লাগবে। কারণ সবাই তো আর ধান বিক্রি করবে না। শুধু যেসব কৃষক সরকারি গুদামে বিক্রি করতে আগ্রহী তাদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। একটা ইউনিয়নে অনেক কৃষক থাকে। সবার কাছে গিয়ে তালিকা তৈরি করায় একটু সময় লাগে। আগামী ২-১ দিনের মধ্যে আমরা খাদ্য বিভাগের কাছে কৃষকের তালিকা পৌঁছে দিব।
খাদ্য বিভাগ আরও আগে চিঠি দিলে আমরা আরও আগে কৃষক তালিকা তৈরি করে দিতে পারতাম। উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল হাসান বলেন, আমিও জানি সারা দেশে সপ্তমে ধান সংগ্রহ শুরু হয়েছে। আমাদের এখানে এখনো কেন ধান সংগ্রহ শুরু হয়নি বিষয়টা নিয়ে খাদ্য কর্মকর্তার কাছে জানতে চেয়েছি। তিনি আমাকে যেটা জানিয়েছেন, ‘এখনো কৃষি অফিস থেকে কৃষকের তালিকা পাননি এবং অনেক কৃষক এখনো জমি থেকে বোরো ধান কাটেনি তাই দেরি হচ্ছে।’ আমি বিষয়টা খতিয়ে দেখব কেন দেরি হচ্ছে। গাফিলাতি হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। প্রসঙ্গত, চলতি মৌসুমে সোনাগাজী উপজেলায় বোরো ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ১৩৪ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা। ৭ মে-৩১ আগস্ট পর্যন্ত বোরো ধান সংগ্রহ করা হবে।