মানিকগঞ্জ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে মাটির তৈরি তৈজসপত্র। তবে দইয়ের পাতিল এবং প্রতিমা তৈরি করে কেউ কেউ কোনো মতে টিকে আছেন। এক সময় মাটির হাঁড়ি, পাতিল, ঢাকনা, কলস, পিঠা বানানোর ছাঁচ, বাচ্চাদের খেলনা, চার, ভাটি, মটকাসহ বিভিন্ন মাটির পণ্যের ব্যাপক চাহিদা ছিল। বর্তমানে প্রতিমা ও দই তৈরির পাতিল ছাড়া অন্যগুলোর চাহিদা নেই বললেই চলে। সরেজমিন সদর উপজেলার পালড়া পালপাড়ায় দেখা যায় আগের মতো ব্যস্ততা নেই। নিতাই পাল (৮৫) নামে একজন জানান, প্লাস্টিকের জিনিসের জন্য মাটির পণ্যের কদর কমেছে। তাছাড়া সব কিছুর দাম বেশি। এক ট্রলার মাটির দাম পড়ে ১২ হাজার টাকা। এখন শুধু দইয়ের পাতিল তৈরি হয়। অন্য কিছুর চাহিদা নেই। আমার এক ছেলে বিদেশ থাকে, আরেকজন এ কাজ করে না। তিনি আরও বলেন, সবাই এখন অন্য কিছু করার চেষ্টা করছে। এ পেশায় আর সংসার চলে না। আগে এই গ্রামেই ৬০টি পরিবার এ পেশায় জড়িত ছিলেন। এখন অর্ধেক মানুষ অন্য পেশায় চলে গেছে। মানিকগঞ্জের বিশিষ্ট দই-মিষ্টি ব্যবসায়ী ও শহর বণিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান খান মিন্টু বলেন, অন্য কোনো পাত্রে দই রাখলে বেশিক্ষণ মান ভালো থাকে না। দইয়ের মান ঠিক রাখতে মাটির পাতিল ব্যবহার অব্যাহত থাকবে।