মাত্র তিন মাস আগে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নে ৯০ মিটার বাঁধ মেরামত করা হয়। এক সপ্তাহ আগে সেই বাঁধে শুরু হয়েছে ভাঙন। ইতোমধ্যে রিভার সাইডের ১০০ ফুট মূল বাঁধ রক্ষায় ফেলা জিওব্যাগ ধসে আন্ধারমানিক নদীতে ভেসে গেছে। ভাঙন শুরু হয়েছে বাঁধের কান্ট্রি সাইডেও। সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় ফাঁটল। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে পাঁচ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ডেও (পাউবো) কর্মকর্তারা বলছেন, নদীর গভীরতা বেশি থাকায় বাঁধের ভাঙন ঠেকানো যাচ্ছে না। সরেজমিন পরিদর্শন করে বাঁধ জরুরি মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হবে। জানা যায়, ৪৭/৪ পোল্ডারের মিঠাগঞ্জ বেড়িবাঁধ ২০০৭ সালের সিডরের জলোচ্ছ্বাসে ভেঙে যায়। তখন নদীতে বিলীন হয় দুটি স্লুইসগেট। এরপর প্রায় পাঁচ বছর ভাঙা বাঁধের কারণে ওই ইউনিয়নের পাঁচ গ্রাম বর্ষা মৌসুম শুরু হলেই পানিতে ডুবে থাকত। বন্ধ হয়ে যেত চাষাবাদ। পরবর্তীতে এলাকাবাসীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কয়েক দফা এ বেড়িবাঁধ মেরামত হলেও আবার শুরু হয়েছে ভাঙন। মিঠাগঞ্জ পয়েন্টে প্রায় ১০০ ফুট মূল বাঁধ স্লাবসহ ধসে পড়েছে। অথচ বাঁধটি মাত্র তিন মাস আগে জিওব্যাগ ফেলে পুর্নমেরামত করা হয়েছিল। অপরিকল্পিতভাবে প্রবাহমান আন্ধারমানিক নদীর রিভার সাইডে বাঁশের তৈরি পাইলিং দিয়ে জিওব্যাগ ফেলে বাঁধ রক্ষার ব্যবস্থা করায় স্রোতে তা ভেঙে গেছে এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। বেড়িবাঁধ ঘেঁষা গ্রামের বাসিন্দারা জানান, বর্তমানে বাঁধের যে অবস্থা তাতে মূল বাঁধ এ বর্ষায়ই বিলীন হয়ে যেতে পারে। রিভার সাইড ও কান্ট্রিসাইড দুই দিকেই ভাঙন শুরু হয়েছে। তারা এ বছর আমন ফসল উৎপাদন করতে পারবেন কি না এ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন। মিঠাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মেজবা উদ্দিন খান দুলাল বলেন, যে অবস্থায় বাঁধে ভাঙন শুরু হয়েছে তাতে পুরো ইউনিয়নের মানুষ উদ্বিগ্ন। জরুরিভিত্তিতে বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ না নিলে আন্ধারমানিক নদীর পানি ঢুকে প্লাবিত হবে পাঁচ গ্রাম। কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খালেদ বিন অলীদ বলেন, তারা বাঁধের ওই স্থান জরুরি মেরামত করেছিলেন। বাঁধের ভাঙা অংশে নদীর গভীরতা বেশি থাকায় শুধু জিওব্যাগ ফেলে এ বাঁধ রক্ষা করা যাবে না। সরেজমিন পরিদর্শন করে এ ব্যাপারে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।